Posts

টিকা দিতে বাধ্য করলে কি করবেন??

Image
  প্রবল অনীহা বা অনিচ্ছা থাকা শর্তেও আপনাকে করোনা ভাইরাসের কথিত ভ্যাকসিন বা টিকা একপ্রকার বাধ্য হয়েই নিতে হচ্ছে, সেক্ষেত্রে আপনার করনীয় কি হবে শারিয়াহর দৃষ্টিকোণ থেকে তা জেনে নিন। এই লিখায় ফ্লু লাইক ভাইরাস সার্স-২ বা আরএনএ কোভিড১৯ এর কথিত ভ্যাকসিন বা টিকার অকার্যকারিতা নিয়ে, এই ভ্যাকসিন বা টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ও ক্ষতিকর দিক গুলো নিয়ে আলোচনা করা এখানে উদ্দেশ্য নয়। বিষয়টি এমন যে, আপনি কোনো মতেই এই কথিত ভ্যাকসিন বা টিকা নিজের দেহে প্রবেশ করাতে মোটেও ইচ্ছুক নন। কিন্তু নিদিষ্ট কিছু ব্যক্তিত্ব বা প্রতিষ্ঠানের জোরজবরদস্তি মূলক বল প্রয়োগে অথবা নানাবিধ চাপ সৃষ্টি করার মাধ্যমে আপনাকে টিকা নিতে বাধ্য করছে, এখন আপনার চিন্তা-ভাবনার জগত কেবল অন্ধকার আর আপনি প্রায় দিশেহারা। ভয় ছড়ানো হচ্ছে যে, 'ভ্যাকসিন কার্ড সাথে না রাখলে ঘর থেকেও বের হতে পারবা না', অন্য অন্য কাজ আঞ্জাম দেওয়া তো আগামীর কথা। তাদের জন্য নিচের তথ্য গুলো- জাতিয়তাবাদী বাংলাদেশের মানবরচিত কুফরি ও অপবিত্র সংবিধানের মৌলিক অধিকার অংশের ৪০ অনুচ্ছেদে লিখা আছে যে, 'টিকা নিতে বাধ্য করা যাবে না'। এখন যেহেতু এই আইনের বিপরীতে নতু

ইসলামের দৃষ্টিতে, করোনা(!) কোন মহামারী নয়।

Image
ইসলামের দৃষ্টিতে, করোনা(!) কোন মহামারী নয়। ইসলামের দৃষ্টিতে, কোন রোগ মহামারী হতে হলে; সেই রোগে প্রতি ঘন্টায় ২০ হাজার মানুষ মারা গেলে তাকে মহামারী বলা হয় । আর তথাকথিত ভুয়া করোনা (!) মহামারী তে, তো ঘন্টায় ২০ হাজার থেকে ৭০ হাজার দূরে থাক! পুরো পৃথিবীতে কয়েক দিন ধরে মিথ্যা করোনা মৃত বলে চালিয়েও এতো মরেনি ।  

রাব্বি জিদনি ইলমা

Image
  ইলম মহান আল্লাহপাকের পক্ষ থেকে মানবজাতির জন্য অনুগ্রহ ও মহাদান। মানবজাতির শ্রেষ্ঠত্বের মূলেই রয়েছে জ্ঞান তথা ইলম। কেবলমাত্র মানবজাতি বাকশক্তি সম্পন্ন, তারা কথা বলতে পারে, যে কোন বিষয় সাবলীলভাবে বর্ণনা করতে পারে। একজনের কথা অপরজন স্বাভাবিকভাবে বুঝতে পারে। মানুষের এই বিস্ময়কর ক্ষমতা মহান আল্লাহ প্রদত্ত মহা নেয়ামত। তিনি মানুষকে জ্ঞানবান করে সৃষ্টি করেছেন, তাঁর স্মরণ শক্তিকে প্রখর করে দিয়েছেন। স্মৃতি শক্তির বিবেচনায় মানুষ অজানাকে জেনে স্মরণ রাখতে পারে। কদাচিৎ স্মৃতিশক্তির দুর্বলতা হেতু মানুষ স্মরণযোগ্য বিষয়কেও ভুলে যায়। মানুষের এ ভুলে যাবার প্রবানতাও এক ধরণের আপদ, আরবী প্রবাদে আছে, ‘আফাতুল ইলমি আন নিসইয়ান’ জ্ঞানের বিপদ ভুলে যাওয়া। মানুষকে জ্ঞানের এ আপদ থেকে পরিত্রান পেতে দোয়া শিক্ষা দেয়ার জন্য রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে উপলক্ষ্য করে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন ইরশাদ করেন, ‘ (বলো) হে আমার প্রভু, আমার ইলম বৃদ্ধি করে দাও। (সূরা ত্ব-হা : আয়াত: ১১৪)। আয়াতের ব্যাখ্যায় আল্লামা কুরতুবী রাহ. বলেন, ইলমের চেয়ে অন্য কোনো আমল যদি আল্লাহর কাছে বেশি প্রিয় হতো তবে তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহ

কাব্বালাহ

Image
কাব্বালাহ নিয়ে সবার আইডিয়া থাকলেও সবার কাছেই ধোয়াসা, তাই একটু ক্লিয়ার করার প্রচেষ্টা মাত্র। কাব্বালাহ খুবই বিশাল এবং অন্ত্যন্ত জটিল বিষয়, তবে চেষ্টা করবো যেন খুব সংক্ষেপে আলোচনা করা যায়। আমরা মোটামুটি সবাই কালোযাদু সম্পর্কে জানি, যেখানে বিভিন্ন তবে তন্ত্র মন্ত্র পড়ে জ্বীনের মাধ্যমে মানুষের ক্ষতি করা হয়, তো কাব্বালাহ এই কালো যাদুর একটি অংশ বলা চলে, আর কাব্বালাহ বিষয় এত বেশি হলে ব্ল্যাক ম্যাজিকের বিস্তার কত বড় তা আন্দাজ করা সম্ভব না। সুতরাং এটা স্পষ্ট যে মানুষকে খব কম জ্ঞানই দান করা হয়েছে, আর এই অল্প জ্ঞানের সীমা এতো বেশি যা এই অল্প জ্ঞান দিয়ে মাপা সম্ভব না। কাব্বালাহর উৎপত্তি নিয়ে অনেক কথা আছে, তবে ব্যাবিলনের সেই কাহিনি থেকেই এর উৎপত্তি হয়। একটু গভীরে যাওয়া যাক। প্রায় ৩৭০০ বছর আগের এক ব্যবিলনীয় গণিত ফলক সংরক্ষিত রয়েছে ব্রিটিশ মিউজিয়ামে। এটি থেকে গবেষকরা জানতে পারেন, সেই তখনই ব্যবিলনবাসীরা আধুনিক ত্রিকোণমিতি সম্বন্ধে জানতো। তারা বৃহস্পতি গ্রহের কক্ষপথও হিসেব করছিল সে যুগেই। এ তো গেল প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কার। প্রত্নতত্ত্ব থেকে বহু দূরে যদি ঘুরে আসা যায়, তাহলে পাওয়া যায় সম্পূর্ণ ভিন্ন এক অ

ইরান ও হামাস সত্যিই কি ফিলিস্তীনীদের সাহায্য করছে?

Image
  ❛❛ আমরা যদি এই সমস্যার গভীরে যাই তাহলে এটা অনেক লম্বা ও জটিল বিষয়। কিন্তু সংক্ষেপে আপনি এতটুকু জেনে রাখুন যে, ফিলিস্তিনে হামাস নামক যে সংগঠনটি রয়েছে, তারা ইখওয়ানীদের সহচর। এদের উপর ইখওয়ানীদের কর্তৃত্ব রয়েছে। আর ইখওয়ানীদের সাথে রাফিদ্বীদের পুরাতন সখাতা রয়েছে । ইরান ও হামাসের মধ্যে সম্পর্ক আছে --- এতে কোন সন্দেহ নেই। ইরান হামাসকে সমর্থন করে। এখন এর ভিতরকার অবস্থা কি, তারা ঠিক কতটুকু সমর্থন করে --- সেটা আমরা জানিনা। বাহিরের মিডিয়ায় যা বলাবলি হচ্ছে, আমরা শুধু তা শুনতেছি। কথা হল, কেন এমন হয়না যে, ইরান হামাসের সাথে মিলে ইসরাইলের বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধ করছে? অথচ ইসরাইল ফিলিস্তিনকে জোর-জবরদস্তি টুকরো করে ফেলেছে। ওখানে হামাস উপস্থিত থাকা স্বত্তেও ইরান কেন দলবদ্ধভাবে ইসরাইলের সাথে সরাসরি লড়াই করছে না --- যেভাবে ইরাক, সিরিয়া, ইয়েমেনে তারা যুদ্ধ করছে, তাদের আর্মি জেনারেল ও কর্ণেলরা স্বশরীরে উপস্থিত থেকে তদারকি করছে!? . দ্বিতীয়ত আরেকটা ভয়ংকর জিনিস বলব যা আপনার কাছে অবিশ্বাস্য লাগতে পারে, হামাসের সাথে ইরানের বন্ধুত্বের উদ্দেশ্য (এই বন্ধুত্ব যদি কায়েম থাকে আর আমরা জানিনা যে এই বন্ধুত্বের শিকড় কত গ