টিকা দিতে বাধ্য করলে কি করবেন??
প্রবল অনীহা বা অনিচ্ছা থাকা শর্তেও আপনাকে করোনা ভাইরাসের কথিত ভ্যাকসিন বা টিকা একপ্রকার বাধ্য হয়েই নিতে হচ্ছে, সেক্ষেত্রে আপনার করনীয় কি হবে শারিয়াহর দৃষ্টিকোণ থেকে তা জেনে নিন।
এই লিখায় ফ্লু লাইক ভাইরাস সার্স-২ বা আরএনএ কোভিড১৯ এর কথিত ভ্যাকসিন বা টিকার অকার্যকারিতা নিয়ে, এই ভ্যাকসিন বা টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ও ক্ষতিকর দিক গুলো নিয়ে আলোচনা করা এখানে উদ্দেশ্য নয়। বিষয়টি এমন যে, আপনি কোনো মতেই এই কথিত ভ্যাকসিন বা টিকা নিজের দেহে প্রবেশ করাতে মোটেও ইচ্ছুক নন। কিন্তু নিদিষ্ট কিছু ব্যক্তিত্ব বা প্রতিষ্ঠানের জোরজবরদস্তি মূলক বল প্রয়োগে অথবা নানাবিধ চাপ সৃষ্টি করার মাধ্যমে আপনাকে টিকা নিতে বাধ্য করছে, এখন আপনার চিন্তা-ভাবনার জগত কেবল অন্ধকার আর আপনি প্রায় দিশেহারা।
ভয় ছড়ানো হচ্ছে যে, 'ভ্যাকসিন কার্ড সাথে না রাখলে ঘর থেকেও বের হতে পারবা না', অন্য অন্য কাজ আঞ্জাম দেওয়া তো আগামীর কথা। তাদের জন্য নিচের তথ্য গুলো-
জাতিয়তাবাদী বাংলাদেশের মানবরচিত কুফরি ও অপবিত্র সংবিধানের মৌলিক অধিকার অংশের ৪০ অনুচ্ছেদে লিখা আছে যে, 'টিকা নিতে বাধ্য করা যাবে না'। এখন যেহেতু এই আইনের বিপরীতে নতুন কোন আইন পাশ করানো হয় নি, সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের ধর্মনিরপেক্ষ সরকার ইচ্ছে করলেও কাউকে বাধ্য করতে পারবে না নানাবিধ চাপ সৃষ্টি করার দ্বারা। তাছাড়া, বাংলাদেশের ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর করোনা ভাইরাসের কথিত ভ্যাকসিন বা টিকার সাধারণ ব্যবহারে অনুমোদন দেয় নি, কেবল জরুরি ব্যবহারে অনুমতি দিয়েছে। আর সরকারি 'সুরক্ষা' ওয়েবসাইটে স্পষ্ট লিখা আছে, 'ব্যক্তির ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে টিকা দেওয়া যাবে না'। যারা ভয় ছড়ায় তাদের কাছে এই তথ্য গুলো ভালো করে বুঝে তুলে ধরুন, আর এতেও কাজ না হলে নিচের কলামে নামুন।
আপনাকে দেশের বাহিরে যেতে হলে ভ্যাকসিন বা টিকা নেওয়া থাকতেই হবে, এটা সত্য। আপনার দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে, ভ্যাকসিন বা টিকা আপনাকে নিতেই হচ্ছে। তাদের জন্য শারঈ দৃষ্টিকোণ থেকে কিছু তথ্য-
এই ভ্যাকসিন বা টিকা যদি অপ্রমাণিত ও অকার্যকর কিছু হয়ে থাকে, পাশাপাশি এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ও ক্ষতিকর দিক গুলোও উন্মোচিত। সেক্ষেত্রে জেনে-বুঝে এই অকার্যকর ক্ষতিকর একপ্রকার বিষ আমার দেহের জন্য কি করে জায়িজ হতে পারে। এমনিতে ভ্যাকসিন বা টিকা নেওয়ার ব্যাপারে শরিয়াহর সাধারণ ফয়সালা হলো তা জায়িজ, এই আসবাব শারিয়াহর সাথে সাংঘর্ষিক কিছু না। তবে ত্ব-গুত প্রশাসন গুলো ভ্যাকসিন বা টিকা যেভাবে বাধ্যতামূলক করে দিচ্ছে, শারঈভাবে তা সেরকম ওয়াজিব কিছু নয়। বরং মুবাহ ধরনের। কেউ চাইলে নিতে পারবে, না চাইলে নেই। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, কুফফারদের বস আ(মরিক|র বানানো ও দেশীও ত্ব-গুতের কাছ থেকে নেওয়া ভ্যাকসিন বা টিকা কি নেওয়া যাবে?। এর সহজ উত্তর হলো, জ্বি ভাই নিতে পারবেন।
এগুলো ত্ব-গুতের প্রতি আনুগত্যের সাক্ষ্য বহন করে না। এমনকি ত্বগু-ত বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত করার কথা বলে ভ্যাকসিন বা টিকা নিতে বাধ্য করলেও ভ্যাকসিন বা টিকা নেওয়া ওদের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করে না। ভ্যাকসিন বা টিকা অনেক ক্ষেত্রে হারাম বা বিলকুল নাজায়িজ আসবাব দিয়ে বানানো হয়, স্পষ্ট জানা থাকলে সেক্ষেত্রে এই ভ্যাকসিন বা টিকা গুলো কেবলই অসুস্থদের জন্য জায়িজ হবে। আচ্ছা, ত্বগু-ত প্রশাসন ফ্রি-তে ভ্যাকসিন বা টিকা দিলে তা জায়িজ হবে কি?। এর উত্তর হলো, তা মুসলিমদের জন্য গ্রহণ করা জায়িজ। কেননা হ|রবিদের সম্পদ ধোঁকা ও চুক্তি ভঙ্গ ব্যতীত অন্য যে কোনো পন্থায় হাসিল হয়, সেই সম্পদ মুসলিমদের জন্য ভক্ষন করা জায়িজ-
দারুল হ|রব-এ কুফফারদের সম্পদ মুবাহ। মুসলিম যে কোনো পন্থায় তা গ্রহণ করবে, সে হালাল সম্পদই গ্রহণ করবে; যদি তাতে কোনো ধোঁকা ও চুক্তিভঙ্গ না থাকে।
(হিদায়া, ৩/৬৫)
তবে উক্ত ভ্যাকসিন বা টিকা গ্রহণের বিনিময়ে যদি ত্ব-গুতের প্রভাবের বলয়ে আটকা পড়তে হয় কিংবা নিজের আদর্শ বিসর্জন দিতে হয়, তাহলে তা গ্রহণ করা যাবে না।
রেফারেন্স ফাতওয়া
[১] fatwaa[ডট]org/2021/01/06/2039/
[২] fatwaa[ডট]org/2020/07/01/1235/
জ্বি লিঙ্কের [ডট] তুলে দিয়ে . বসিয়ে নিতে হবে।
যারা প্রানপণে চেষ্টা করছেন মিথ্যে দানব করোনা ভাইরাসের বিধ্বংসী ভ্যাকসিন বা টিকা থেকে বাঁচার জন্য, তারা চেষ্টা জারি রাখবেন। এই চেষ্টায় যখন একদম নিরুপায় হয়ে যাবেন, সেক্ষেত্রে এই ভ্যাকসিন নিতে তখন যা যা করবেন-
১.
করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন বা টিকা নেওয়ার তারিখ যেদিন, সেদিন ভ্যাকসিন বা টিকা নেওয়ার আগে সকালে সাতটা আজওয়া খেজুর খাবেন।
২.
দুই রাকআত সলাত আদায় শেষে সুমহান সত্তা আল্লাহর কাছে দু'আ করবেন, যেন ভ্যাকসিন বা টিকার কার্যকারিতা আল্লাহ পানির কার্যকারিতায় বদলে দেয়।
৩.
ভ্যাকসিন বা টিকা নেওয়ার সময় পুরোপুরি নিজ মনকে আল্লাহর স্বরণে ডুবিয়ে রাখবেন আর পড়বেন, 'আউযুবি কালিমাতিল্লাহিত তাম্মাতি মিন শাররীমা খলাক্ব'। আল্লাহ চায় তো এই ভ্যাকসিন আপনার দেহে অসাড় হয়ে পড়বে।
মনে রাখবেন একদম নিরুপায় না হলে এই ভ্যাকসিন বা টিকা নিবেন না, এই ভ্যাকসিন বা টিকা হয়তো আপনাকে জম্বি টাইপ মৃতমানব হতে সাহায্য করবে। আপনার পরবর্তী প্রজন্মকে হৃদরোগী হওয়া থেকে বাঁচান, নিজেও থাকুন সাবধান।
আজওয়া খেজুরের উপকারিতাঃ:-
সা‘দ (রঃ) তার পিতা হতে বর্ণিত এবং তিনি বলেন- রসূলুল্লাহ (সঃ) ইরশাদ ফরমান, 'যে ব্যক্তি প্রত্যেকদিন সকাল বেলায় সাতটি আজওয়া উৎকৃষ্ট খেজুর খাবে, সেদিন কোন বিষ ও যাদু তার কোন ক্ষতি করবে না।'
(সহীহুল বুখারী, হাদিস ৫৪৪৫)
ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া, ইবনু আইয়্যুব ও ইবনু হুজর (রহঃ) আম্মিজান আইশাহ (রঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেন, 'মদিনার আলিয়া অঞ্চলের (উঁচু ভূমির) আজওয়া খেজুরে শেফা (রোগমুক্তি) রয়েছে'। অথবা তিনি বলেছেন, 'প্রতিদিন সকালের এর আহার বিষনাশক (ঔষধের কাজ করে)'।
(সহীহুল মুসলিম, হাদিস ৫১৬৮)
উম্মুল মু'মিনুন আইশাহ (রঃ) থেকে বর্ণিত- রসূলুল্লাহ (সঃ) বলেন, 'আল-'আলিয়ার আজওয়া খেজুর খেয়েই সকালের উপবাস প্রথমে ভাঙলে তা (সর্বপ্রকার) যাদু অথবা বিষক্রিয়ার আরোগ্য হিসেবে কাজ করে'।
(মুসনাদে আহমাদ, হাদিস ২৩৫৯২)
দু'আ-টার দলিলঃ:-
খাওলা বিনতে হাকিম (রঃ) থেকে বর্ণিত, রসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেন, তোমাদের কেউ কোন গন্তব্যে পৌছে যদি এই দু'আ পড়ে, 'আউযুবি কালিমাতিল্লাহিত তাম্মাতি মিন শাররীমা খলাক্ব' (আল্লাহর পরিপূর্ণ কালিমার আশ্রয় চাইছি সকল সৃষ্ট বস্তুর অনিষ্ঠ থেকে)। যতক্ষণ সে ঐ স্থান থেকে সরে না যাচ্ছে ততক্ষণ কোনো কিছুই তার কোন ক্ষতি করবেনা।
(সহীহুল মুসলিম, হাদিস ২৭০৮: তিরমিযী, হাদিস ৩৪৩৭)
বিঃদ্রঃ সাতটি আজওয়া খেজুর যেহেতু বিষ ও যাদুকে কাটিয়ে দিতে পারে, সুতরাং টিকার বিষক্রিয়া ও যাদুকরী কার্যকারিতাও কাটিয়ে দিতে পারবে ইন শা আল্লাহ।
বিঃদ্রঃ লিখার কিছু অংশ সংগৃহীত ও পরিমার্জিত। সার্স-১ ও মার্স করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন বা টিকা এখনো বের হয় নি। আর সার্স-২ বা কোভিড১৯ ভাইরাসের ভ্যাকসিন বা টিকার ১ম ও ২য় ডোজ নিয়েও অনেকের করোনা হচ্ছে, মারাও যাচ্ছে। গ্লোবাল রিসার্চের প্রতিবেদন ও আইইডিসিআর এর গবেষণায় ব্যাপারটা উঠে এসেছে। যার আগে করোনা হয় নি, সেও এখন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে এই কথিত ভ্যাকসিন বা টিকা নিয়ে।
বিঃদ্রঃ আল্লাহ প্রদত্ত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাই আমার জন্য যথেষ্ট, যেটি শতভাগ কার্যকরী ও সবার ক্ষেত্রে কার্যকরী। আর অকার্যকর ভ্যাকসিন বা টিকা যেন শুধুই ব্যর্থতা। ভ্যাকসিন বা টিকার ট্রায়াল চলছে, আর এবার বেছে নেওয়া হয়েছে আমাদেরকে। আয় আল্লাহ এই ফেতনা তো অনেক ভয়াবহ রূপ ধারন করেছে, আল্লাহ মুমিনদের হিফাজত করো। হায়! হলিঊড মুভি গুলোর বাস্তব চিত্র আজ আমার চোখের সামনে, মাআযাল্লহ।
আলহামদুলিল্লাহ আমি শুরু থেকেই এসব নাটকের বিরুদ্ধে ছিলাম
ReplyDeleteআসসালামু আলাইকুম,, ভাই আপনার সব আইডি বন্ধ, আর কোন ফেসবুক গ্রুপ ও খুঁজে পাচ্ছিনা... নতুন কোন আইডি বা গ্রুপ থাকলে প্লিজ লিংক মেইল করে দিয়েন
ReplyDeletemohammadali20042000@gmail.com
ReplyDeleteamar gmail aita