অ্যান্টার্কটিকার সবুজ বরফ এবং পৃথিবীর শেষ প্রান্তের আলোচনা:


 



প্রথমে উইকিপিডিয়ার তথ্য গুলো পড়ুন ।
অ্যান্টার্কটিকা হল পৃথিবীর সর্বদক্ষিণে অবস্থিত মহাদেশ। ভৌগোলিক দক্ষিণ মেরু এই মহাদেশের অন্তর্গত। দক্ষিণ গোলার্ধের অ্যান্টার্কটিক অঞ্চলে প্রায় সামগ্রিকভাবেই কুমেরু বৃত্তের দক্ষিণে অবস্থিত এই মহাদেশটি দক্ষিণ মহাসাগর দ্বারা পরিবেষ্টিত। ১,৪২,০০,০০০ বর্গকিলোমিটার (৫৫,০০,০০০ বর্গমাইল) আয়তন-বিশিষ্ট অ্যান্টার্কটিকা পৃথিবীর পঞ্চম বৃহত্তম মহাদেশ এবং আয়তনে অস্ট্রেলিয়া মহাদেশের প্রায় দ্বিগুণ। অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশটি এখনও পর্যন্ত বিশ্বের সর্বনিম্ন জনবসতিপূর্ণ মহাদেশ। এই মহাদেশের জনঘনত্ব প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ০.০০০০৮ জন। অ্যান্টার্কটিকার ৯৮% অঞ্চল গড়ে ১.৯ কিমি (১.২ মা; ৬,২০০ ফু) পুরু বরফে আবৃত।[৫] অ্যান্টার্কটিক উপদ্বীপের উত্তরপ্রান্তে অবস্থিত অংশগুলি বাদ দিয়ে সর্বত্রই এই বরফের আস্তরণ প্রসারিত।
অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশে মূলত দু’টি ঋতু; শীত ও গ্রীষ্মকাল। এ দুই ঋতুতে অ্যান্টার্কটিকায় সত্যিকার অর্থেই একেবারে রাত আর দিন পার্থক্য। অ্যান্টার্কটিকায় গ্রীষ্মকালে সূর্য কখনোই পুরোপুরি অস্ত যায় না। এ সময় দিগন্ত রেখা বরাবর সূর্য চারদিকে ঘুরতে থাকে আর শীতকালে সেখানে টানা চার মাস সূর্যই ওঠে না। অ্যান্টার্কটিকার এই দীর্ঘ রাতের আকাশে চাঁদ উঠলে তা টানা এক সপ্তাহ পর্যন্ত দেখা যায়। সাধারণত শীতকালে এখানকার তাপমাত্রা থাকে -৮০ থেকে -৯০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং গ্রীষ্ম মৌসুমে এর তাপমাত্রা থাকে ৫ থেকে ১৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস।

এবার অন্যান্য ব্লগের আর্টিকেল পড়ুন।
Article-1
রহস্যে ঘেরা এন্টার্কটিকা, বরফের নিচে পর্বতশ্রেণীর সন্ধান
পশ্চিম এন্টার্কটিকার বিস্তীর্ণ বরফস্তরের নিচে রয়েছে আস্ত একটা পর্বতশ্রেণী। তাদের মাঝে গা-ঢাকা দিয়ে রয়েছে কয়েকশ’মাইল ছড়ানো তিনটি উপত্যকাও। এই অনুসন্ধান নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে ‘জিয়োফিজ়িক্যাল রিসার্চ লেটার্স’ পত্রিকায়।
জানা গেছে, বেশ কয়েকটি কৃত্রিম (drone / balloon) উপগ্রহ ভূপৃষ্ঠের ছবি তুলে চলেছে। মাটির গভীরে কোথায় কী রয়েছে, তার ছবিও ধরা পড়ে তাতে। কিন্তু সেগুলোর প্রায় সবই এমন ভাবে পৃথিবীকে পাক খাচ্ছে যে, দক্ষিণ মেরুর ওই অংশ এত দিন ধরা পড়েনি সেগুলোর ক্যামেরা বা রাডারে। তাই বরফ ভেদ করে দেখতে পায় এমন বিশেষ রাডারের সাহায্যে এই মহাদেশের মানচিত্র নতুন ভাবে তৈরি করতে চেয়েছিলেন বিজ্ঞানীরা। আর তাতেই উঠল পর্দা।
‘পোলার গ্যাপ’ নামে গবেষকদের বিশেষ এই অনুসন্ধানে ধরা পড়েছে, পশ্চিম এবং পূর্ব এন্টার্কটিকার বরফের আস্তরণকে জুড়ে রেখেছে ওই তিন উপত্যকা।

Article-2
সবুজ পৃথিবীর অন্যতম আকর্ষণীয় অঞ্চল শুভ্র অ্যান্টার্কটিকা ।
পৃথিবীর শুষ্কতম ও শীতলতম মহাদেশ। দক্ষিণ মহাসাগর দিয়ে ঘেরা এবং পৃথিবীর দীর্ঘতম এই মহাদেশের লুকিয়ে আছে কত অজানা রহস্য। যার অনুসন্ধানে বিভিন্ন সময়, বিভিন্ন দেশের শতশত বিজ্ঞানী, অভিযাত্রী ছুটে গেছেন এই মহাদেশ।
বছরের মার্চ থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সূর্যমামার দেখা পাওয়া যায় না এখানে। তাই খুব স্বাভাবিক ভাবেই এখানকার তাপমাত্রা অনেক কম থাকে। − ১০° সেলসিয়াস থেকে −৬৩ °সেলসিয়াসের মধ্যে দিনের তাপমাত্রা উঠানামা করে। মে থেকে জুলাই মাসের ভেতরে সূর্যমামার সামান্য আলো এখানে পাওয়া যায়।
এই অ্যান্টার্কটিকার অনেকগুলো রহস্যের মধ্যে একটি রহস্য হচ্ছে এর সবুজ বরফ।
সূর্য রশ্মি নীল রঙের প্রতিফলন ঘটায় বলে বরফের রং হয় হালকা নীল। এ কারণেই সমুদ্রে ভাসতে থাকা বেশিরভাগ হিমশৈলের রং নীল অথবা সাদা। কিন্তু অ্যান্টার্কটিকার পূর্বদিকের সমুদ্রে অত্যন্ত দুর্লভ সবুজ হিমশৈল ভেসে বেড়াতে দেখা যায়। গত প্রায় ১০০ বছর ধরে এ অঞ্চল নিয়ে গবেষণারত বিজ্ঞানী, অভিযাত্রী, নাবিকরা মহাসাগরে ভাসতে থাকা এই সবুজ অদ্ভুতদর্শন হিমশৈলের কথা বলেছেন।
তারা বিভিন্ন সময় তাদের গবেষণার জন্য বা অভিযাত্রীরা, নাবিকরা যখন এসব অঞ্চলে অবস্থান করতেন বা অঞ্চলের পাশ দিয়ে যেতেন তখন তারা এই দুর্লভ দৃশ্য দেখতে পান। এবং পরে এ খবরটি বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে।
লরা হেরেইজ, যিনি অস্ট্রেলিয়ান তাসমানিয়া ইউনিভার্সিটির একজন সমুদ্র বিজ্ঞানী । তিনি ১৯৮০ সালে অ্যান্টার্কটিকায় অভিযানে যান। সেখানে তিনি Amery Ice Shelf এর বরফে থাকা লোহার পরিমাণ পরীক্ষা করেন। এই বরফের মধ্যে হিমবাহের বরফের তুলনায় ৫০০ গুণ বেশি লোহা ছিল।
এরপর ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির হিমবাহবিদ, স্টিফেন ওয়ারেন তার দলবল নিয়ে অ্যান্টার্কটিকায় পৌঁছান সবুজ হিমশৈলর রহস্য সন্ধানের জন্য। সেখানে পৌঁছে তিনি পেয়ে যান একটি প্রকাণ্ড হিমশৈল। এবং সরঞ্জাম নিয়ে উঠে পড়েন এর উপর।
তিনি রীতিমত বিস্মিত হয়ে যান হিমবাহটির স্বচ্ছতা দেখে। এটি ছিল কাঁচের মত স্বচ্ছ। এর ভেতরে ছিল না কোন বাতাসের বুদবুদ। তিনি বুঝতে পেরেছিলেন এটি কোন সাধারণ হিমশৈল নয়।

Mysterious green icebergs from Antarctica might be fertilizing the southern ocean


Article-3
পৃথিবীর শেষস্থান বা শেষ প্রান্ত নামে খ্যাত কিছু জায়গার নাম তুলে ধরা হলঃ
· পৃথিবীর ম্যাপের উত্তর ও দক্ষিন দিকে চেপটা টরোলটুংগা(নরওয়ে) নামক একটি জায়গা আছে যাকে পৃথিবীর শেষ প্রান্ত বলা হয়। এই স্থানটি ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০০০ মিটার উপরে। নরওয়ের এই স্থানটির পরে আর কিছু পাওয়া যায়না শুধু বরফ আর বরফ।
· আবার অনেকের নিকট পৃথিবীর শেষ প্রান্ত নামে পরিচিত রাশিয়ার ইয়ামাল পেনিনসুলা এলাকা। এইস্থানে মহাকাশ থেকে কোন ভারী উল্কার আঘাতে তৈরি হয়েছে বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। এটা নিয়ে মানুষের আগ্রহের শেষ নেই।
· অনেকে নরওয়ের রোগাল্যান্ডের একটি পাহাড়ি পর্যটন এলাকাকে পৃথিবীর শেষ প্রান্ত বলে থাকে।
· আর্জেন্টিনার নিকটবর্তী সমুদ্র অঞ্চলে টিয়েরা-ডেল-ফুয়েগো দ্বীপপুঞ্জকে পৃথিবীর শেষ সীমা হিসেবে কল্পনা করা হয়। উল্লেখ্য টিয়েরা-ডেল-ফুয়েগো নামের অর্থই হলো পৃথিবীর শেষ সীমা।
· কেপহর্ন ( Capehorn) - চিলির কেপহর্ন ড্রাক প্যাসেজের উত্তর সীমানায় অবস্থিত এবং এই সেই জায়গা যেখানে অ্যান্টার্কটিক এবং প্রশান্ত মহাসাগর মিলিত হয়েছে। এটি পর্যটকদের কাছে একটি প্রধান আকর্ষণের জায়গা। চবে নৌ চলাচলের জন্য এই জায়গা খুবই দুর্গম বলে মনে করা হয়। বেশ কিছু তদন্তকারী এই জায়গাটিকে পৃথিবীর শেষ হিসাবে বিবেচনা করে।
· ওয়েস্ট সাসেক্স (West Sussex)- ইংল্যান্ডে অবস্থিত একটি দেশ হল ওয়েস্ট সাসেক্স। সাসেক্সে পর্যটকদের ভীড় লেগেই থাকে। তবে এই জায়গাটি খুব একটা উন্নত না হলেও এর প্রাকৃতিক শোভা দেখলে চোখ জুড়িয়ে যায়। পশ্চিম সাসেক্স-এর নীচে এবং উপকূলীয় অঞ্চলে অনেকগুলি দেখার মতো জায়গা রয়েছে। এই দেশে প্রায় ২,২০০০ বাড়ি রয়েছে বলে জানা যায়।
বলাবাহুল্য, এই প্রত্যেকটি জায়গাকে কেবলমাত্র বিশ্বাসের ওপর ভর করেই পৃথিবীর শেষ প্রান্ত হিসাবে বিবেচনা করা হয়।এর কোনও সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি। তবে পর্যটকদের জন্য এই জায়গাগুলি রোমাঞ্চে ভরা।
(সংগৃহীত)

RM: ২ নং আর্টিকেল অনুযায়ী আমরা কাঁচের মত স্বচ্ছ সবুজ হিমশৈলর কথা জানতে পারলাম। কথিত বিজ্ঞানীরা তাদের মতো করে দুনিয়াবী ব্যাখ্যা দিবে এটাই স্বাভাবিক। তারা বলছে এটা শ্যাওলা বা কোনো জীবাশ্মের কারণে হয়েছে। কিন্তু আমাদের কাছে যেহেতু কোরআন ও হাদিস রয়েছে, আমরা সেই দৃষ্টিভঙ্গিতেই দেখবো। আমাদের মতে এটা কাফ পর্বতমালার কোনো অংশ হবে। যার পরে মানুষের আর সামনে এগোনোর সুযোগ নেই। অর্থাৎ এটাই জমিনের প্রান্ত সীমা। আল্লাহু আলম। এ সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানুন নিচের এই ব্লগ থেকে।
আর ৩ নং আর্টিকেল থেকে আমরা পৃথিবীর অন্যান্য শেষ প্রান্ত সম্পর্কেও কিছুটা ধারণা পেলাম। এই ধারণাগুলোকে একেবারে ফেলে দেয়া যায়না। আমাদের কাছ থেকে তো অনেক সত্যকেই গোপন করা হয়। আর আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়যে, আমরা ওখানে গিয়ে সত্যতা যাচাই করবো। তবে যেহেতু আমাদের কাছে এলমে লাদুন্নী আছে, আমরা তা দিয়ে সত্যকে উপলব্ধি করতে ও বের করে আনতে পারবো ইনশাআল্লাহ।


Comments

Popular posts from this blog

পোলিও টিকাতে মূল উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হয় বানরের কিডনি:

আপনার শিশুকে টিকা দিতে চান? তার আগে সত্য জানুন!

ডাইনোসর নিয়ে যত জল্পনা কল্পনা: