সূর্য কোন আকাশে অবস্থিত ?
মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মানব জাতির জীবন যাপনের জন্যে তাবৎ জিনিসপত্র সৃষ্টি করেছেন। তিনিই সৃষ্টি করেছেন সাতটি আকাশ ও সাতটি জমিন৷ অতপর তিনি প্রথম জমিনকে সাজিয়েছেন গাছ-গাছালী,তরু-লতা,খাল-বিল,নদী-নালা,সাগর-মহাসাগর,পাহাড়-পর্বত ও ঝর্ণাধারা দিয়ে৷ অনুরুপভাবে তিনি প্রথম আসমানকে সাজিয়েছেন চন্দ্র-সূর্য,গ্রহ-নক্ষত্র,তারকারাজি,মেঘখণ্ড-বায়ুমণ্ড ও রংধনু দিয়ে৷ তন্মধ্যে চন্দ্র সূর্য আমাদের সীমাহীন উপকারী বস্তু৷ আর সেই চন্দ্র সূর্য নিয়ে আমাদের মনে কতই না কৌতুহল!
আকাশ সাতটি৷
১ম আকাশের নাম রাকীয়াহ৷ এটি সাদা বরফের তৈরী৷ কাফ পর্বতের নিকটে হওয়ায় তা নীল রঙ্গের দেখা যায়৷
২য় আকাশের নাম হলো ফাসদারুম বা মাউন৷ এটি সাদা মোতির তৈরী৷
৩য় আকাশের নাম হলো মালাকুত বা হারিউন৷ এটি লোহার তৈরী৷
৪র্থ আকাশের নাম হলো যাহেরাহ৷ এটি তামার তৈরী৷
৫ম আকাশের নাম হলো মুযাইয়্যানাহ বা মুসাহহারাহ৷ এটি রূপার তৈরী৷
৬ষ্ঠ আকাশের নাম হলো খালেসাহ৷ এটি স্বর্ণের তৈরী৷
৭ম আকাশের নাম হলো লাবিয়াহ বা দামিয়া৷ এটি সবুজ যমরুদ পাথরের তৈরী৷ (তাফসীরে রুহুল মাআনী ৬/৩০,মুকাশাফাতুল কুলুব ১/২২৭)
চন্দ্র-সূর্য ও গ্রহ নক্ষত্ররাজির অবস্থান সম্পর্কে মহান রাব্বুল আলামীন কুরআনুল কারীমে বলেনঃ
الم تروا كيف خلق الله سبع سموات طباقا.وجعل القمر فيهن نوراو جعل الشمس سراجا.
তোমরা কি লক্ষ করনা আল্লাহ তায়ালা কিভাবে সৃষ্টি করেছেন সপ্ত আকাশ স্তরে স্তরে? এবং সেখানে চাঁদকে স্থাপন করেছেন আলোক রুপে ও সূর্যকে স্থাপন করেছেন প্রদিপ রুপে৷ (সূরাহ নূহ ১৫-১৬ নং আয়াত)
আল্লাহ তায়ালা আরও বলেনঃ
وبنينا فوقكم سبعا شدادا.وجعلنا سراجا وهاجا.
আমি সৃষ্টি করেছি তোমাদের উপরে সুদৃঢ় সপ্ত আকাশ এবং সৃষ্টি করেছি একটি উজ্জল প্রদিপ৷ (সূরাহ নাবা ১২-১৩ নং আয়াত৷
আল্লাহ তায়ালা আরও বলেনঃ
ﺇِﻧَّﺎ ﺯَﻳَّﻨَّﺎ ﺍﻟﺴَّﻤَﺎﺀَ ﺍﻟﺪُّﻧْﻴَﺎ ﺑِﺰِﻳﻨَﺔٍ ﺍﻟْﻜَﻮَﺍﻛِﺐِ -
নিশ্চয় আমি সর্বনিম্ন আসমানকে
তারকারাজি দ্বারা সুসজ্জিত করেছি। (সূরাহ সাফফাত ৬ নং আয়াত)
অন্যত্র আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
ﻭَﻟَﻘَﺪْ ﺯَﻳَّﻨَّﺎ ﺍﻟﺴَّﻤَﺎﺀَ ﺍﻟﺪُّﻧْﻴَﺎ ﺑِﻤَﺼَﺎﺑِﻴﺢَ-
আমি সর্বনিম্ন আকাশকে প্রদীপমালা দ্বারা সুসজ্জিত করেছি (সূরাহ মুলক ৫ নং আয়াত)
১ম আকাশের নাম রাকীয়াহ৷ এটি সাদা বরফের তৈরী৷ কাফ পর্বতের নিকটে হওয়ায় তা নীল রঙ্গের দেখা যায়৷
২য় আকাশের নাম হলো ফাসদারুম বা মাউন৷ এটি সাদা মোতির তৈরী৷
৩য় আকাশের নাম হলো মালাকুত বা হারিউন৷ এটি লোহার তৈরী৷
৪র্থ আকাশের নাম হলো যাহেরাহ৷ এটি তামার তৈরী৷
৫ম আকাশের নাম হলো মুযাইয়্যানাহ বা মুসাহহারাহ৷ এটি রূপার তৈরী৷
৬ষ্ঠ আকাশের নাম হলো খালেসাহ৷ এটি স্বর্ণের তৈরী৷
৭ম আকাশের নাম হলো লাবিয়াহ বা দামিয়া৷ এটি সবুজ যমরুদ পাথরের তৈরী৷ (তাফসীরে রুহুল মাআনী ৬/৩০,মুকাশাফাতুল কুলুব ১/২২৭)
চন্দ্র-সূর্য ও গ্রহ নক্ষত্ররাজির অবস্থান সম্পর্কে মহান রাব্বুল আলামীন কুরআনুল কারীমে বলেনঃ
الم تروا كيف خلق الله سبع سموات طباقا.وجعل القمر فيهن نوراو جعل الشمس سراجا.
তোমরা কি লক্ষ করনা আল্লাহ তায়ালা কিভাবে সৃষ্টি করেছেন সপ্ত আকাশ স্তরে স্তরে? এবং সেখানে চাঁদকে স্থাপন করেছেন আলোক রুপে ও সূর্যকে স্থাপন করেছেন প্রদিপ রুপে৷ (সূরাহ নূহ ১৫-১৬ নং আয়াত)
আল্লাহ তায়ালা আরও বলেনঃ
وبنينا فوقكم سبعا شدادا.وجعلنا سراجا وهاجا.
আমি সৃষ্টি করেছি তোমাদের উপরে সুদৃঢ় সপ্ত আকাশ এবং সৃষ্টি করেছি একটি উজ্জল প্রদিপ৷ (সূরাহ নাবা ১২-১৩ নং আয়াত৷
আল্লাহ তায়ালা আরও বলেনঃ
ﺇِﻧَّﺎ ﺯَﻳَّﻨَّﺎ ﺍﻟﺴَّﻤَﺎﺀَ ﺍﻟﺪُّﻧْﻴَﺎ ﺑِﺰِﻳﻨَﺔٍ ﺍﻟْﻜَﻮَﺍﻛِﺐِ -
নিশ্চয় আমি সর্বনিম্ন আসমানকে
তারকারাজি দ্বারা সুসজ্জিত করেছি। (সূরাহ সাফফাত ৬ নং আয়াত)
অন্যত্র আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
ﻭَﻟَﻘَﺪْ ﺯَﻳَّﻨَّﺎ ﺍﻟﺴَّﻤَﺎﺀَ ﺍﻟﺪُّﻧْﻴَﺎ ﺑِﻤَﺼَﺎﺑِﻴﺢَ-
আমি সর্বনিম্ন আকাশকে প্রদীপমালা দ্বারা সুসজ্জিত করেছি (সূরাহ মুলক ৫ নং আয়াত)
এই আয়াতসমূহ দ্বারা বুঝা যায়, চন্দ্র সূর্যসহ যাবতীয় তারকারাজির অবস্থান সর্বনিম্ন আসমান অর্থাৎ প্রথম আসমানে। হযরত ইবনে আব্বাস রাযিঃ বলেনঃ চন্দ্র সূর্য ও তারকারাজির সবকিছুই সর্বনিম্ন আকাশে অবস্থিত। তাফসীরে মাযহারীতেও বলা হয়েছে যে,চন্দ্র-সূর্য ও গ্রহ নক্ষত্র প্রথম আকাশের নীচে৷ (মাযহারী ১২/৬১,মুকাশাফাতুল কুলুব ১/২২৮,ক্বাসাসুন নাবিয়্যিন ১/৭৩)
অপরদিকে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন ইরশাদ করেনঃ
ﻟَﺎ ﺍﻟﺸَّﻤْﺲُ ﻳَﻨْﺒَﻐِﻲ ﻟَﻬَﺎ ﺃَﻥْ ﺗُﺪْﺭِﻙَ ﺍﻟْﻘَﻤَﺮَ ﻭَﻟَﺎ ﺍﻟﻠَّﻴْﻞُ ﺳَﺎﺑِﻖُ ﺍﻟﻨَّﻬَﺎﺭِ ﻭَﻛُﻞٌّ ﻓِﻲ ﻓَﻠَﻚٍ ﻳَﺴْﺒَﺤُﻮﻥ-
অর্থঃ না সূর্যের সাধ্য আছে সে চন্দ্রের নাগাল পাবে,না চন্দ্রের সামর্থ আছে সে সূর্যকে অতিক্রম করবে। প্রত্যেকেই তাদের কক্ষপথে পরিভ্রমণ করে। (সূরাহ ইয়াসিন ২০ নং
আয়াত)
এই আয়াত দ্বারা বুঝা যায় সূর্য ও চন্দ্রের অবস্থান তাদের নিজস্ব "ফালাক" এর মধ্যে,যেখানে তারা পরিভ্রমন করে৷ আর ফালাক শব্দের তাফসীর হলো আসমান ও যমিনের মধ্যবর্তী ঐ কক্ষপথ যা দিয়ে তারকারাজি পরিভ্রমণ করে। চন্দ্র সূর্যের বারটি করে কক্ষপথ রয়েছে এবং আটাইশটি করে মঞ্জিল রয়েছে৷ (তাফসীরে তাবারী ২০/৫১৭,তাফসীরে জালালাইন ৫/৩৪২)
উপরোক্ত আয়াতসমূহ দ্বারা স্পষ্ট বুঝা যায় চন্দ্র সূর্য,গ্রহ নক্ষত্র ইত্যাদি সব কিছুর অবস্থান প্রথম আসমানের নীচে। আর সর্ব বিষয়ে আল্লাহই অধিক অবহিত৷
والله اعلم بالصواب
'
প্রমান্যগ্রন্থাবলীঃ
তাফসীরে তাবারী ২০/৫১৮ পৃংষ্ঠা৷
তাফসীরে ইবনে কাসীর ১৮/৫৯৯ পৃষ্ঠা৷
তাফসীরে উসমানী ৬/২৫২ পৃষ্ঠা৷
তাফসীরে জালালাইন ৫/৩৪২ পৃষ্ঠা৷
তাফসীরে ফি-যিলালিল কুরআন ১৭/৯৭ পৃষ্ঠা৷
বুখারী শরীফ ৫/৩৬২ পৃষ্ঠা৷
ফাতহুল বারী ৮/৪০২ পৃষ্ঠা৷
আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া ১/৫৮ পৃষ্ঠা৷
মুকাশাফাতুল কুলুব ১/২২৭ পৃষ্ঠা৷
Comments
Post a Comment