আকাশের দূরত্ব এবং লো আর্থ আরবিটে রকেটের বাধাপ্রাপ্তি নিয়ে একটি বিশ্লেষণ:
দুইটি ব্লগ থেকে দুইটি হাদিস নেয়া হয়েছে। প্রথমে আমরা হাদিসগুলো দেখবো, তারপর কিছু আলোচনা করবো ইনশাআল্লাহ।
(হাদিস নং - ১ ) ৫০০ বছরের রাস্তার বর্ণনা।
আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন,
ما بين السماء الدنيا والتي تليها مسيرة خمس مئة عام ومابين كل سماء مسيرة خمس مائة عام وما بين السماء السابعة والكرسي مسيرة خمس مئة عام وما بين الكرسي والماء مسيرة خمس مئة عام والعرش على الماء والله عز و جل على العرش يعلم ما أنتم عليه
‘‘দুনিয়ার আকাশ এবং এর পরবর্তী আকাশের মধ্যে দূরত্ব হচ্ছে পাঁচশ’ বছরের পথ। আর এক আকাশ থেকে অন্য আকাশের দূরত্ব হচ্ছে পাঁচশ বছরের পথ। এমনি সপ্তমাকাশ এবং কুরসীর মধ্যে দূরত্ব হচ্ছে পাঁচশ বছরের পথ। কুরসী এবং পানির মাঝখানে দূরত্ব হচ্ছে পাঁচশ বছরের পথ। আরশ হচ্ছে পানির উপরে। আর আল্লাহ তাআলা আরশের উপরে। তোমাদের আমলের কোন কিছুই তাঁর কাছে গোপন নয়’’।
হাম্মাদ বিন সালামা হতে এই হাদীছ ইবনে মাহদী বর্ণনা করেন আসেম হতে, আসেম বর্ণনা করেন যির্ হতে, তিনি বর্ণনা করেন আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) থেকে। অনুরূপ বর্ণনা করেন মাসউদী আসেম হতে, তিনি আবি ওয়ায়েল হতে এবং তিনি আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন।
ইমাম যাহাবী (রঃ) উপরোক্ত সনদ বর্ণনা করেছেন এবং বলেছেনঃ অনেক সনদে এই বর্ণনা এসেছে।
আববাস বিন আবদুল মুত্তালিব (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একবার তাঁকে জিজ্ঞেস করলেনঃ্র
هَلْ تَدْرُونَ كَمْ بَيْنَ السَّمَاءِ وَالأَرْضِ قَالَ قُلْنَا اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ. قَال্َর بَيْنَهُمَا مَسِيرَةُ خَمْسِمِائَةِ سَنَةٍ وَمِنْ كُلِّ سَمَاءٍ إِلَى سَمَاءٍ مَسِيرَةُ خَمْسِمِائَةِ سَنَةٍ وَكِثَفُ كُلِّ سَمَاءٍ مَسِيرَةُ خَمْسِمِائَةِ سَنَةٍ وَبَيْنَ السَّمَاءِ السَّابِعَةِ وَالعَرْشِ بَحْرٌ بَيْنَ أَسْفَلِهِ وَأَعْلاَهُ كَمَا بَيْنَ السَّمَاءِ وَالأَرْضِ وَاللَّهُ تَبَارَكَ وَتَعَالَى فَوْقَ ذَلِكَ وَلَيْسَ يَخْفَى عَلَيْهِ مِنْ أَعْمَالِ بَنِى آدَمَ شَىْءٌ
‘‘তোমরা কি জানো, আসমান ও যমীনের মধ্যকার দূরত্ব কত?’’ আমরা বললামঃ আল্লাহ ও তাঁর রাসূলই সবচেয়ে অধিক জানেন। তিনি বললেন, ‘‘আসমান ও যমীনের মাঝে দূরত্ব হচ্ছে পাঁচশ বছরের পথ। এক আকাশ থেকে অন্য আকাশের দূরত্ব হচ্ছে পাঁচশ’ বছরের পথ। প্রত্যেক আকাশের ঘনত্বও (পুরুত্ব) পাঁচশ’ বছরের পথ। সপ্তমাকাশ ও আরশের মধ্যখানে রয়েছে একটি সাগর। যার উপরিভাগ ও তলদেশের মাঝে দূরত্ব হচ্ছে আকাশ ও যমীনের মধ্যকার দূরত্বের সমান। আল্লাহ তাআলা এর উপরে রয়েছেন। আদম সন্তানের কোন কর্মকান্ডই তাঁর অজানা নয়’’। ইমাম আবু দাউদ (রঃ) এই হাদীছ বর্ণনা করেছেন।
ইমাম আলবানী (রঃ) এই হাদীছকে যঈফ বলেছেন, দেখুনঃ শরহুল আকীদুত্ তাহাবীয়া, (১/৩০৫)।
(হাদিস নং - ২ ) ৭১ / ৭২ / ৭৩ বছরের রাস্তার বর্ণনা।
আববাস বিন আব্দুল মুত্তালিবের হাদীছটি লেখক এখানে সংক্ষিপ্ত করে উল্লেখ করেছেন। আবু দাউদের বর্ণনাটি ঠিক এ রকম, আববাস বিন আব্দুল মুত্তালিব (রাঃ) বলেন,
كُنْتُ فِى الْبَطْحَاءِ فِى عِصَابَةٍ فِيهِمْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَمَرَّتْ بِهِمْ سَحَابَةٌ فَنَظَرَ إِلَيْهَا فَقَالَ مَا تُسَمُّونَ هَذِهِ قَالُوا السَّحَابَ قَالَ وَالْمُزْنَ قَالُوا وَالْمُزْنَ قَالَ وَالْعَنَانَ قَالُوا وَالْعَنَانَ قَالَ أَبُو دَاوُدَ لَمْ أُتْقِنِ الْعَنَانَ جَيِّدًا قَالَ هَلْ تَدْرُونَ مَا بُعْدُ مَا بَيْنَ السَّمَاءِ وَالأَرْضِ قَالُوا لاَ نَدْرِى قَالَ إِنَّ بُعْدَ مَا بَيْنَهُمَا إِمَّا وَاحِدَةٌ أَوِ اثْنَتَانِ أَوْ ثَلاَثٌ وَسَبْعُونَ سَنَةً ثُمَّ السَّمَاءُ فَوْقَهَا كَذَلِكَ حَتَّى عَدَّ سَبْعَ سَمَوَاتٍ ثُمَّ فَوْقَ السَّابِعَةِ بَحْرٌ بَيْنَ أَسْفَلِهِ وَأَعْلاَهُ مِثْلُ مَا بَيْنَ سَمَاءٍ إِلَى سَمَاءٍ ثُمَّ فَوْقَ ذَلِكَ ثَمَانِيَةُ أَوْعَالٍ بَيْنَ أَظْلاَفِهِمْ وَرُكَبِهِمْ مِثْلُ مَا بَيْنَ سَمَاءٍ إِلَى سَمَاءٍ ثُمَّ عَلَى ظُهُورِهِمُ الْعَرْشُ بَيْنَ أَسْفَلِهِ وَأَعْلاَهُ مِثْلُ مَا بَيْنَ سَمَاءٍ إِلَى سَمَاءٍ ثُمَّ اللَّهُ تَبَارَكَ وَتَعَالَى فَوْقَ ذَلِكَ
‘‘আমি একদা একদল সাহাবীর সাথে খোলা ময়দানে বসা ছিলাম। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামও সেখানে ছিলেন। তখন তাদের উপর দিয়ে এক খন্ড মেঘ অতিক্রম করার সময় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সেদিকে তাকিয়ে বললেনঃ তোমরা এটিকে কী বলো? তারা বললোঃ السحاب ‘‘এটিকে আমরা মেঘ বলি’’। তিনি তখন বললেনঃ والمزن (আলমুয্ন)। সাহাবীরা বললোঃ আমরা এটিকে মুয্নও বলি। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেনঃ والعنان (আলআনান)। সাহাবীগণ বললোঃ আমরা আনানও বলি। ইমাম আবু দাউদ (রঃ) বলেনঃ আমি আনান শব্দটি ভালভাবে বুঝতে পারিনি। অতঃপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেনঃ তোমরা কি জানো আকাশ ও পৃথিবীর মাঝখানের দূরত্ব কতটুকু? সাহাবীগণ বললোঃ আমরা জানিনা। তিনি বললেনঃ উভয়ের মধ্যে রয়েছে হয় একাত্তর বছরের, না হয় বাহাত্তর বছরের না হয় তেহাত্তর বছরের দূরত্ব। এমনি প্রত্যেক আকাশ ও তার পরবর্তী আকাশের মধ্যবর্তী দূরত্ব হচ্ছে একই রকম। এভাবে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাতটি আসমান গণনা করলেন। সপ্তম আকাশের উপর রয়েছে একটি সাগর। সাগরের উপর হতে নীচের দূরত্ব (গভীরতা) হচ্ছে এক আসমান থেকে অন্য আসমানের মধ্যকার দূরত্বের সমান। সাগরের উপরে রয়েছে আটটি ওয়াল (বিশাল আকারের আট ফেরেশতা)। তাদের হাঁটু থেকে পায়ের খুর পর্যন্ত দূরত্ব এক আসমান থেকে অন্য আসমানের মধ্যবর্তী দূরত্বের সমান। তাদের পিঠে রয়েছে আল্লাহর আরশ। আরশ এত বিশাল যে, তার নীচের অংশ হতে উপরের ছাদ পর্যন্ত দূরত্ব হচ্ছে এক আসমান থেকে অন্য আসমানের মধ্যবর্তী দূরত্বের সমান। আর আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তাআলা আরশের উপরে’’।
তিরমিযী, অধ্যায়ঃ কিতাবুত্ তাফসীর, মুসনাদে আহমাদ, (১/২০৬)। আলেমগণ হাদীছটি সহীহ ও যঈফ হওয়ার ব্যাপারে মতভেদ করেছেন। ইমাম ইবনে তাইমীয়া এবং তাঁর ছাত্র ইবনুল কাইয়্যিম হাদীছটি সহীহ বলেছেন। ইমাম তিরমিযী বলেনঃ হাদীছটি হাসান গরীব। ইমাম আলবানী হাদীছটিকে যঈফ বলেছেন। দেখুনঃ সিলসিলায়ে যঈফা, হাদীছ নং- ১২৪৭।
উপরোক্ত হাদিস দুটি একটি ইসলামিক ব্লগ থেকে নেয়া হয়েছে।
এবার নিচে আমরা আরেকটি ব্লগের ৭১ / ৭২ / ৭৩ বছরের বর্ণনা নিয়ে এই হাসিটা দেখবো।
আব্বাস বিন আবদুল মুত্তালিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
আমি বাতহা নামক স্থানে একদল লোকের সাথে ছিলাম এবং রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)ও তাদের সাথে ছিলেন। তখন একখণ্ড মেঘ তাকে অতিক্রম করে। তিনি মেঘখণ্ডের দিকে তাকিয়ে বলেন, তোমরা এটাকে কী নামে অভিহিত করো? তারা বলেন, মেঘ। তিনি বলেন, এবং মুয্ন। তারা বলেন, মুয্নও বটে। তিনি বলেন, আনানও। আবু বাক্র (রাঃ) বলেন, তারা সবাই বললেন, আনানও বটে। তিনি বলেন, তোমাদের ও আস'মানের মাঝে তোমরা কত দূরত্ব মনে করো? তারা বলেন, আমরা অবগত নই। তিনি বলেন, তোমাদের ও আসমা'নের মাঝে ৭১ বা ৭২ বা ৭৩ বছরের দূরত্ব রয়েছে। এক আসমান থেকে তার ঊর্ধ্বের আস'মানের দূরত্বও তদ্রূপ। এভাবে তিনি সাত আস'মানের সংখ্যা গণনা করেন। অতঃপর সপ্তম আকাশের উপর একটি সমুদ্র আছে যার শীর্ষভাগ ও নিম্নভাগের মধ্যকার ব্যবধান (গভীরতা) দু' আস'মানের মধ্যকার দুরত্বের সমান। তার উপর রয়েছেন আটজন ফেরেশ্তা, যাদের পায়ের পাতা ও হাঁটুর মধ্যকার ব্যবধান দু' আসমা'নের মধ্যকার দুরত্বের সমান। তাদের পিঠের উপরে আল্লাহ্র আরশ অবস্থিত, যার উপর ও নিচের ব্যবধান (উচ্চতা) দু' আসমা'নের মধ্যকার দুরত্বের সমান। তার উপরে রয়েছেন বরকতময় মহান আল্লাহ্।
আমি বাতহা নামক স্থানে একদল লোকের সাথে ছিলাম এবং রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)ও তাদের সাথে ছিলেন। তখন একখণ্ড মেঘ তাকে অতিক্রম করে। তিনি মেঘখণ্ডের দিকে তাকিয়ে বলেন, তোমরা এটাকে কী নামে অভিহিত করো? তারা বলেন, মেঘ। তিনি বলেন, এবং মুয্ন। তারা বলেন, মুয্নও বটে। তিনি বলেন, আনানও। আবু বাক্র (রাঃ) বলেন, তারা সবাই বললেন, আনানও বটে। তিনি বলেন, তোমাদের ও আস'মানের মাঝে তোমরা কত দূরত্ব মনে করো? তারা বলেন, আমরা অবগত নই। তিনি বলেন, তোমাদের ও আসমা'নের মাঝে ৭১ বা ৭২ বা ৭৩ বছরের দূরত্ব রয়েছে। এক আসমান থেকে তার ঊর্ধ্বের আস'মানের দূরত্বও তদ্রূপ। এভাবে তিনি সাত আস'মানের সংখ্যা গণনা করেন। অতঃপর সপ্তম আকাশের উপর একটি সমুদ্র আছে যার শীর্ষভাগ ও নিম্নভাগের মধ্যকার ব্যবধান (গভীরতা) দু' আস'মানের মধ্যকার দুরত্বের সমান। তার উপর রয়েছেন আটজন ফেরেশ্তা, যাদের পায়ের পাতা ও হাঁটুর মধ্যকার ব্যবধান দু' আসমা'নের মধ্যকার দুরত্বের সমান। তাদের পিঠের উপরে আল্লাহ্র আরশ অবস্থিত, যার উপর ও নিচের ব্যবধান (উচ্চতা) দু' আসমা'নের মধ্যকার দুরত্বের সমান। তার উপরে রয়েছেন বরকতময় মহান আল্লাহ্।
সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং ১৯৩
আসমানের এই দূরত্বের ইউনিট কি অথবা কোন মাধ্যমের উপর ভিত্তি করে বলা সে ব্যপারে কোন সুস্পষ্ট দলিল পাওয়া যায় না। হয়ত ভিন্ন ভিন্ন গতিতে উর্দ্ধোলোক গমনের গতির হিসাবে এরূপ ভিন্ন ভিন্ন সময়কাল ধরা হয়েছে, এসব ব্যপারে একমাত্র আল্লাহই ভাল জানেন।
(AMSBD)
RM: এবার আল্লাহ প্রদত্ত এলম দিয়ে, আল্লাহর উপর ভরসা করে কিছু বিষয় আপনাদের সামনে তুলে ধরতে চাচ্ছি। ভুল হলে আমাকে সতর্ক করে দিবেন আশা করি। বিশেষ করে ওলামায়ে কেরাম হজরত গণের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
উপরোক্ত হাদিস দুটোর তাহকীকে আপনারা দেখলেন, ৫০০ বছরের বর্ণনাকে যঈফ বলা হয়েছে। আর ৭১ / ৭২ / ৭৩ বছরের বর্ণনা নিয়ে মতভেদ আছে। কেউ সহীহ, কেউ যঈফ বলেছেন। তবে ইমাম ইবনে তাইমীয়া এবং তাঁর ছাত্র ইবনুল কাইয়্যিম (র:) হাদীছটি সহীহ বলেছেন।
তাহলে আমরা আকাশের দূরত্ব কোনটা ধরবো? যেহেতু ৭১, ৭২ বছরেরটা অনেকেই সহীহ বলেছেন, আমরা সেটাকেই ধরে নিতে পারি। আর এটা বাস্তবতার সাথেও মিলে যায়। যেমন ৭২ বছর যদি নেই, তাহলে ৫০০ বছরের ব্যাপারটাও সামঞ্জস্য করা যায়। ৭২*৭ = ৫০৪। অর্থাৎ ৭২ বছরের রাস্তা অনুযায়ী ৭ম আসমানের দূরত্ব ৫০০/ ৫০৪ বছর।
আরেকভাবেও চিন্তা করা যায়। আর তা হলো পায়ে হাঁটার দূরত্ব এবং বাহনের দূরত্ব। অর্থাৎ পায়ে হেটে গেলে লাগবে ৫০০ বছর এবং ঘোড়ায় করে গেলে লাগবে ৭২ বছর। দুইও ভাবেই দুটি হাদিসের সামঞ্জস্য রক্ষা করা যায়, আলহামদুলিল্লাহ। বাকিটা আল্লাহু আলম।
এখন কথা হলো এই ৭২ বছরের রাস্তা কি দ্বারা পরিমাপ করা হবে? আমরা জানি জান্নাতের দূরত্ব বা অন্য কোনো দূরত্ব বুঝাতে আল্লাহর রাসূল (স:) ঘোড়ার গতি দিয়ে বুঝাতেন। অর্থাৎ একটি ঘোড়া ১ বছরে যত দূর যেতে পারে সেটাই ১ অশ্ববর্ষ। তাহলে আমরা ৭২ বছরেরটাও ৭২ অশ্ববর্ষ হিসেবে ধরতে পারি। (আল্লাহু আলম)।
কোয়ার্টার হর্স(Quarter horse): এদের সর্বোচ্চ গতিবেগ হতে পারে ঘন্টায় প্রায় ৪৮ -৫০ মাইল। ৫০ মাইল ধরে হিসাব করলে ১ দিনে যায় (৫০*২৪) =১২০০ মাইল। ১ মাসে (১২০০*২৭ চন্দ্র মাস ২৭ দিনে)= ৩২৪০০ মাইল। ১ বছরে (৩২৪০০*১২)= ৩৮৮৮০০ মাইল । ৭২ বছরে (৩৮৮৮০০*৭২)= ২৭৯৯৩৬০০ মাইল। এটাকে চূড়ান্ত হিসাব হিসেবে ধরার সুযোগ নেই। কারণ আল্লাহর রাসূলের সময় ঘন্টা বা দিন গণনা করা হতো কিভাবে তা জানিনা। আর তাছাড়া এটা চন্দ্র বছর নাকি সৌর বছর অনুযায়ী হবে, তাও জানিনা। আর বর্তমান সময়ের সাথে মিলিয়ে এটা বের করতে যাওয়াটাও বোকামি। কারণ কুফফাররা সময়কে এলোমেলো করে দিছে। সময়ের গন্ডগোল নিয়ে অনেক আগেই আলোচনা করা হয়েছে।
(মজার ব্যাপার হচ্ছে কথিত বিজ্ঞানীদের হিসাব অনুযায়ী পৃথিবী থেকে চাঁদের দূরত্ব ৩৮৪৪০০ কি মি (২৩৮৮৫৫ মাইল)। আর আমাদের এই হিসেবে এসেছে ১ বছরে (৩২৪০০*১২)= ৩৮৮৮০০ মাইল ) সেই অনুযায়ী চাঁদের দূরত্ব হয়তো ১ অশ্ববর্ষ বা কিছু কম। । আল্লাহু আলম। যেটাকে কাফেররা নাম দিয়েছে ১ আলোকবর্ষ।
যাইহোক আমাদের আলোচনার সুবিধার্থে আমরা মাঝামাঝি একটা দূরত্বকে ধরে নিচ্ছি। কারণ ৭১ বছরের রাস্তা এবং ঘোড়ার গতি যদি আরো বেশি হয় তাহলে দূরত্ব আরো কমবে। অর্থাৎ ২ / ২.৫ কোটি মাইল। তাহলে প্রথম আকাশের দূরত্ব ২ / ২.৫ কোটি মাইল হতে পারে (আল্লাহু আলম)।
এবার আরেকটি প্রশ্ন চলে আসতে অপরে। তাহলে কিছু ভিডিওতে যে দেখা যায়, রকেটগুলো আকাশে গিয়ে ধাক্কা খাচ্ছে, এটা কি? অর্থাৎ কোথায় ধাক্কা খাচ্ছে?
ওগুলো লো আর্থ অরবিট এ ধাক্কা খাচ্ছে।
উপরে হিসাবটা খেয়াল করুন ((৫০ মাইল ধরে হিসাব করলে ১ দিনে যায় (৫০*২৪) =১২০০ মাইল।)) লো আর্থ অরবিট এর দূরত্বও ১২০০ মাইল। আল্লাহ তায়ালা হয়তোবা এখানে পানি বা অন্য কোনো কিছুর বিশেষ কোনো আবরণ বা পর্দা রেখেছেন। তাই এটা পার হওয়া যায়না।
তো উপরোক্ত পুরো আলোচনার সারমর্ম হলো : পৃথিবী থেকে ১ম আসমানের দূরত্ব আনুমানিক ২ কোটি মাইল (৭২ বছরের রাস্তা)। চাঁদের দূরত্ব মাইল ৩৮৮৮০০ মাইল (১ বছরের রাস্তা)। লো আর্থ অরবিট ১২০০ মাইল ( ১ দিনের রাস্তা)।
N:B: এখন সূর্য কোন দূরত্বে আছে তা জানি না। হয় চাঁদের কাছাকাছি ১ বছরের রাস্তার পরে আছে। অথবা ৭২ বছরের রাস্তার পর প্রথম আসমানে আছে। অর্থাৎ ২-৩ কোটি মাইলের ভিতরে আছে। তবে কথিত ১৫ কোটি মাইল দূরে নেই। (আল্লাহু আলম)
সবাই খুব মনোযোগ দিয়ে আরেকবার পড়ুন। এবং কোনো ভুল ত্রুটি হয়ে থাকলে অনুগ্রহ করে আমাকে জানান।
জাযাকুমুল্লাহু খাইর।
Love ur blog
ReplyDelete