মিশরের রাশাদ খলিফাই সর্বপ্রথম দাহাহার অনুবাদ করেছে উটপাখির ডিম :
অনেকের প্রশ্ন হতে পারে যে, আচ্ছা "দাহাহা" শব্দের অর্থ যদি উটপাখীর ডিম না হয়, তাহলে আরবেরা উটপাখীর ডিম কে কি বলে?
নিচে একটি হাদিস দেওয়া হলো। যেখানে উটপাখীর ডিম কথাটি উল্লেখ রয়েছে। আমরা এইখানে দেখব যে ঠিক কি শব্দটা ব্যবহার করা হয়েছে আরবিতে যার অর্থ উটপাখীর ডিম। আসুন দেখে নিই:-
"Ostrich egg" mentioned in a hadith
There is no hadith saying that the Earth is shaped like an ostrich egg. But
"ostrich egg" is mentioned in one hadith so we can check whether the
word دَحَىٰهَآ (dahaha)
is used in the original Arabic.
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مُوسَى
الْقَطَّانُ الْوَاسِطِيُّ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ مَوْهَبٍ، حَدَّثَنَا
مَرْوَانُ بْنُ مُعَاوِيَةَ الْفَزَارِيُّ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ
الْعَزِيزِ، حَدَّثَنَا حُسَيْنٌ الْمُعَلِّمُ، عَنْ أَبِي الْمُهَزِّمِ، عَنْ
أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ فِي بَيْضِ
النَّعَامِ يُصِيبُهُ الْمُحْرِمُ " ثَمَنُهُ "
It was narrated from Abu Hurairah
that the Messenger of Allah (ﷺ)
said, concerning an ostrich egg (بَيْضِ النَّعَامِ)
taken by a Muhrim: “Its cost (must be paid as a penalty).”
Sunan Ibn Majah 4:25:3086[21]
Of course it isn't, because "ostrich egg" needs two words.
"Egg" is بَيْضِ (baydi) and "ostrich" is النَّعَامِ
(an-na'ami). So ostrich egg is called baydi an-na'ami and not dahaha in Arabic.
দাহাহা শব্দের অর্থ ডিম্বাকৃতি, এই অপব্যাখ্যাটি সর্বপ্রথম যে লোকটা করেছে তার নাম রাশাদ খলিফা।
আরবী থেকে ইংরেজীতে অনুবাদ করেছেন রাশাদ খলীফা। অনুবাদটি আগে দেখে নিই:
[79:30] He made the earth egg-shaped.
এবং শেষে স্পেশাল নোটও আছেঃ
79:30 The Arabic word “dahhaahaa” is derived from “Dahhyah” which means “egg”.
রাশাদ খালীফাঃ
তিনি মূলত একজন বায়োকেমিস্ট ছিলেন। মিশরে জন্ম হলেও ১৯৫৯ সালে আমেরিকায় বায়োকেমিস্ট্রিতে পিএইচডি করতে যান এবং সেখানেই থেকে যান। তিনি ইউনাইটেড সাবমিটার ইন্টারন্যাশনাল (USI) নামে গ্রুপ প্রতিষ্ঠা করেন, যারা নিজেদেরকে প্রকৃত ইসলামের অনুসারী বলে দাবী করতো। এই গ্রুপ কখনো ইসলাম শব্দ ব্যবহার করেনি, বদলে ব্যবহার করে সাবমিশন এবং মুসলিমের বদলে ব্যবহার করে সাবমিটার।
ম্যাথমেটিকল মিরাকল অব কোরআন এর জনকঃ
রাশাদ খলীফা ১৯৭৪ সালে তার বিখ্যাত ম্যাথমেটিকল মিরাকল অব কোরআন প্রকাশ করেন। এই তত্ত্বের মূলে আছে একটি সংখ্যা ১৯। বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম এ আছে ১৯ টি অক্ষর, মোট সুরার সংখ্যা ১১৪ যা ১৯ দ্বারা বিভাজ্য, আয়াতের সংখ্যা ৬৩৪৬ যা ১৯ দ্বারা বিভাজ্য, মোট অক্ষর ১৬২১৪৬ যাও ১৯ দ্বারা বিভাজ্য। এমন আরো বিশাল একটি তালিকা তিনি বের করেন, যা ১৯ দ্বারা বিভাজ্য বা কোন না কোন ভাবে ১৯ এর সাথে সম্পর্কযুক্ত। (7)
কোরআনের বাইরেও প্রাকৃতিক বিভিন্ন ঘটনার মধ্যেও তিনি ১৯ কে নিয়ে আসেন (যেমন হ্যালির ধুমকেতু ৭৬ বছর (১৯*৪) পর পর আবির্ভুত হয়)।
রাশাদ খলীফার মতে এই ১৯ এর ব্যাপারটি কোরআনের ৭৪ নম্বর সুরাতেই বিদ্যমান। কোরআন ৭৪:৩০: তার উপরে রয়েছে "ঊনিশ"।
আল্লাহর ম্যাসেঞ্জারঃ
এরপরে তিনি নিজেকে আল্লাহর ম্যাসেঞ্জার হিসাবে দাবি করেন। (8)। তিনি কোরআনের ৩:৮১ কে নিজের মত করে অনুবাদ ও তাফসীর করে জানান যে, প্রোফেট বা রাসুল হলেন তারা যারা আল্লাহর ওহী প্রাপ্ত হন, এবং ম্যাসেঞ্জার হলো তিনি যিনি রাসুলের প্রতি নাযিলকৃত ওহীকে যথার্থতা প্রদান করবেন। তিনিই কোরআনকে তার প্রকৃত রূপে সকলের সামনে তুলে ধরেছেন বিধায় তিনি সেই ম্যাসেঞ্জার। একইভাবে সুরা আত তাকবীরে (৮১:১৯-২৪) তিনি তাঁর বিখ্যাত ১৯ তত্ত্ব দিয়ে দেখিয়েছেন যে সেখানে যে ম্যাসেঞ্জারের কথা উল্লেখ করা হয়েছে, তিনি আর কেউ নন, রাশাদ খলীফা নিজেই। (সুরা আত-তাকবীরের সুরা নাম্বার, আয়াত সংখ্যা, 'রাশাদ' ও 'খলীফা' শব্দদুটির gematrical value যোগ করলে হয় ১৩৩০, যা ১৯ দ্বারা বিভাজ্য। সুতরাং এই সুরায় উল্লেখিত ম্যাসেঞ্জার আর কেউ নন, রাশাদ খলীফা!!)। এবং তার অনুবাদে তিনি ২২ নং আয়াতে "সে" এর পাশে ব্রাকেটে "রাশাদ" যুক্ত করেও দিয়েছেন! 81:22: Your friend (Rashad) is not crazy.
এবারে আবার ম্যাথমেটিকল মিরাকল দিয়ে প্রমাণ করে দেন যে তিনিই সেই ম্যাসেঞ্জার। তিনি এই আবিষ্কার জানান ১৯৭৪ সালে। এই ১৯ এর অলৌকিকত্ব বিষয়ে আলোকপাত করা হয়েছে ৭৪ নম্বর সুরায়, তিনি এই আবিষ্কার করেন ১৯৭৪ সালে। এই বছরটি হলো হিজরী ১৪০৬। ১৪০৬ = ১৯*৭৪। অতএব, তিনিই আল্লাহর ম্যাসেঞ্জার।
N:B: যে
নিজেকে নবী দাবি করে, তার ব্যাপারে কি ফয়সালা, এটা সব মুসলিমই জানে। আশা
করি এই দাহাহা নিয়ে আর কোনো বিভ্রান্তি কারো মধ্যেই থাকবেনা ইনশাআল্লাহ।
Comments
Post a Comment