সূর্যের গতিপথ এবং আমেরিকার সাথে দিন রাত্রির পার্থক্য:
প্রথমে অনেকগুলো আয়াত ও হাদিস দেয়া হলো। এগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। বিশেষ করে সূরা কাহাফের ১৭ নং আয়াত টা কয়েকবার পড়লে আপনি নিজেই সূর্যের গতিপথ বুঝে ফেলবেন, ইনশাআল্লাহ। আর যারা বুঝবেন না, তাদের জন্য নিচে কিছু আলোচনা থাকবে।
وَتَرَى الشَّمْسَ إِذَا طَلَعَت
تَّزَاوَرُ عَن كَهْفِهِمْ ذَاتَ الْيَمِينِ وَإِذَا غَرَبَت تَّقْرِضُهُمْ ذَاتَ
الشِّمَالِ وَهُمْ فِي فَجْوَةٍ مِّنْهُ ذَلِكَ مِنْ آيَاتِ اللَّهِ مَن يَهْدِ
اللَّهُ فَهُوَ الْمُهْتَدِ وَمَن يُضْلِلْ فَلَن تَجِدَ لَهُ وَلِيًّا مُّرْشِدًا
তুমি সূর্যকে দেখবে, যখন উদিত হয়, তাদের গুহা থেকে পাশ কেটে ডান দিকে চলে যায় এবং যখন অস্ত যায়, তাদের থেকে পাশ কেটে বামদিকে চলে যায়, অথচ তারা গুহার প্রশস্ত চত্বরে অবস্থিত। এটা আল্লাহর নিদর্শনাবলীর অন্যতম। আল্লাহ যাকে সৎপথে চালান, সেই সৎপথ প্রাপ্ত এবং তিনি যাকে পথভ্রষ্ট করেন, আপনি কখনও তার জন্যে পথপ্রদর্শনকারী ও সাহায্যকারী পাবেন না। [ সুরা কা’হফ ১৮:১৭ ]
সূর্য কি পৃথিবীর চার দিকে ঘুরে?
মান্যবর শায়খ ((Allama uthaymeen(rh)) উত্তরে বলেন যে, শরীয়তের
প্রকাশ্য দলীলগুলো
প্রমাণ করে যে, সূর্যই পৃথিবীর চতুর্দিকে
ঘুরে। এই ঘুরার কারণেই পৃথিবীতে দিবা-রাত্রির আগমণ ঘটে। সূর্য ঘুরার দলীলগুলো হলঃ
﴿فَإِنَّ ٱللَّهَ يَأۡتِي بِٱلشَّمۡسِ مِنَ
ٱلۡمَشۡرِقِ فَأۡتِ بِهَا مِنَ ٱلۡمَغۡرِبِ﴾ [البقرة: ٢٥٨]
“আল্লাহ তা‘আলা সূর্যকে পূর্ব
দিক
থেকে
উদিত
করেন।
তুমি
পারলে
পশ্চিম
দিক
থেকে
উদিত
কর।”
[সূরা
আল-বাকারা, আয়াত: ২৫৮]
সূর্য
পূর্ব
দিক
থেকে
উঠার
মাধ্যমে প্রকাশ্য দলীল
পাওয়া
যায়
যে,
সূর্য
পৃথিবীর উপর
পরিভ্রমণ করে।
আল্লাহ
বলেন,
﴿فَلَمَّا رَءَا ٱلشَّمۡسَ بَازِغَةٗ قَالَ
هَٰذَا رَبِّي هَٰذَآ أَكۡبَرُۖ فَلَمَّآ أَفَلَتۡ قَالَ يَٰقَوۡمِ إِنِّي
بَرِيٓءٞ مِّمَّا تُشۡرِكُونَ ٧٨﴾ [الانعام: ٧٨]
“অতঃপর যখন
সূর্যকে চকচকে
অবস্থায় উঠতে
দেখলেন
তখন
বললেন,
এটি
আমার
রব,
এটি
বৃহত্তর। অতপর
যখন
তা
ডুবে
গেল,
তখন
বলল
হে
আমার
সম্প্রদায়! তোমরা
যেসব
বিষয়ে
শরীক
কর
আমি
ওসব
থেকে
মুক্ত।”
[সূরা
আল-আন‘আম, আয়াত:
৭৮]
এখানে
নির্ধারণ হয়ে
গেল
যে,
সূর্য
অদৃশ্য
হয়ে
যায়।
একথা
বলা
হয়
নি
যে,
সূর্য
থেকে
পৃথিবী
ডুবে
গেল।
পৃথিবী
যদি
ঘূরত
তাহলে
অবশ্যই
তা
বলা
হত।
আল্লাহ
বলেন,
﴿وَتَرَى ٱلشَّمۡسَ إِذَا طَلَعَت تَّزَٰوَرُ
عَن كَهۡفِهِمۡ ذَاتَ ٱلۡيَمِينِ وَإِذَا غَرَبَت تَّقۡرِضُهُمۡ ذَاتَ ٱلشِّمَالِ﴾
[الكهف: ١٧]
“তুমি সূর্যকে দেখবে,
যখন
উদিত
হয়,
তাদের
গুহা
থেকে
পাশ
কেটে
ডান
দিকে
চলে
যায়
এবং
যখন
অস্ত
যায়,
তাদের
থেকে
পাশ
কেটে
বাম
দিকে
চলে
যায়।”
[সূরা
কাহাফ,
আয়াত:
১৭]
পাশ
কেটে
ডান
দিকে
বা
বাম
দিকে
চলে
যাওয়া
প্রমাণ
করে
যে,
নড়াচড়া
সূর্য
থেকেই
হয়ে
থাকে।
পৃথিবী
যদিনড়াচড়া করত
তাহলে
অবশ্যই
বলতেন
সূর্য
থেকে
গুহা
পাশ
কেটে
যায়।
উদয়
হওয়া
এবং
অস্ত
যাওয়াকে সূর্যের দিকে
সম্পৃক্ত করা
হয়েছে।
এটা
থেকে
বুঝা
যায়
যে,
সূর্যই
ঘুরে।
পৃথিবী
নয়।
মহান
আল্লাহ
বলেন,
﴿وَٱلشَّمۡسُ تَجۡرِي لِمُسۡتَقَرّٖ لَّهَاۚ
ذَٰلِكَ تَقۡدِيرُ ٱلۡعَزِيزِ ٱلۡعَلِيمِ ٣٨ وَٱلۡقَمَرَ قَدَّرۡنَٰهُ مَنَازِلَ
حَتَّىٰ عَادَ كَٱلۡعُرۡجُونِ ٱلۡقَدِيمِ ٣٩ لَا ٱلشَّمۡسُ يَنۢبَغِي لَهَآ أَن
تُدۡرِكَ ٱلۡقَمَرَ وَلَا ٱلَّيۡلُ سَابِقُ ٱلنَّهَارِۚ وَكُلّٞ فِي فَلَكٖ
يَسۡبَحُونَ ٤٠﴾ [يس: ٣٨، ٤٠]
“সূর্য তার
নির্দিষ্ট অবস্থানে আবর্তন
করে।
এটা
পরাক্রমশালী, সর্বজ্ঞ আল্লাহর নির্ধারণ। চন্দ্রের জন্যে
আমি
বিভিন্ন মঞ্জিল
নির্ধারিত করেছি।
অবশেষে
সে
পুরাতন
খর্জুর
শাখার
অনুরূপ
হয়ে
যায়।
সূর্যের পক্ষে
চন্দ্রকে নাগাল
পাওয়া
সম্ভব
নয়।
রাতের
পক্ষেও
দিনের
অগ্রবতী হওয়া
সম্ভব
নয়।
প্রত্যেকেই আপন
আপন
কক্ষপথে পরিভ্রমণ করে।”
[সূরা
ইয়াসীন,
আয়াত:
৩৮-৪০]
সূর্যের চলা
এবং
এ চলাকে মহা পরাক্রমশালী আল্লাহর নির্ধারণ বলে
ব্যাখ্যা করা
এটাই
প্রমাণ
করে
যে,
সূর্য
প্রকৃতভাবেই চলমান।
আর
এ চলাচলের কারণেই দিবা-রাত্রি
এবং
ঋতুর
পরিবর্তন হয়।
চন্দ্রের জন্য
মঞ্জিল
নির্ধারণ করার
অর্থ
এ যে, সে তার
মঞ্জিলসমূহে স্থানান্তরিত হয়।
যদি
পৃথিবী
ঘুরত,
তাহলে
পৃথিবীর জন্য
মঞ্জিল
নির্ধারণ করা
হত।
চন্দ্রের জন্য
নয়।
সূর্য
কর্তৃক
চন্দ্রকে ধরতে
না
পারা
এবং
দিনের
অগ্রে
রাত
থাকা
সূর্য,
চন্দ্র,
দিন
এবং
রাতের
চলাচলের প্রমাণ
বহন
করে।
নবী
সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম সূর্য
অস্ত
যাওয়ার
সময়
আবু
যরকে
বলেছেন,
«أَتَدْرِي أَيْنَ تَذْهَبُ قُلْتُ اللَّهُ
وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ قَالَ فَإِنَّهَا تَذْهَبُ حَتَّى تَسْجُدَ تَحْتَ الْعَرْشِ
فَتَسْتَأْذِنَ فَيُؤْذَنُ لَهَا وَيُوشِكُ أَنْ تَسْجُدَ فَلَا يُقْبَلَ مِنْهَا
وَتَسْتَأْذِنَ فَلَا يُؤْذَنَ لَهَا يُقَالُ لَهَا ارْجِعِي مِنْ حَيْثُ جِئْتِ
فَتَطْلُعُ مِنْ مَغْرِبِهَا»
“হে আবু
যর!
তুমি
কি
জান
সূর্য
যখন
অস্ত
যায়
তখন
কোথায়
যায়?
আবু
যার
বললেন,
আল্লাহ
এবং
তাঁর
রাসূলই
ভালো
জানেন।
রাসূল
সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম বললেন,
সূর্য
অস্ত
যাওয়ার
সময়
‘আরশের
নিচে
গিয়ে
সেজদায়
লুটিয়ে
পড়ে
এবং
পুনরায়
উদিত
হওয়ার
অনুমতি
চায়।
অতঃপর
তাকে
অনুমতি
দেওয়া
হয়।
সে
দিন
বেশি
দূরে
নয়,
যে
দিন
অনুমতি
চাবে
কিন্তু
তাকে
অনুমতি
দেওয়া
হবে
না।
তাকে
বলা
হবে
যেখান
থেকে
এসেছ,
সেখানে
ফেরত
যাও।
অতঃপর
সূর্য
পশ্চিম
দিক
থেকেই
উদিত
হবে।”[1]
এটি
হবে
কিয়ামতের পূর্ব
মুহূর্তে। আল্লাহ
সূর্যকে বলবেন,
যেখান
থেকে
এসেছ
সেখানে
ফেরত
যাও,
অতঃপর
সূর্য
পশ্চিম
দিক
থেকে
উদিত
হওয়ার
বিষয়টি
সুস্পষ্টভাবে প্রমাণ
করে
যে,
সূর্য
পৃথিবীর উপরে
ঘুরছে
এবং
তার
এ ঘুরার মাধ্যমেই উদয়-অস্ত সংঘটিত হচ্ছে।
অসংখ্য
হাদীসের মাধ্যমে জানা
যায়
যে,
উদয়
হওয়া,
অস্ত
যাওয়া
এবং
ঢলে
যাওয়া
এ কাজগুলো সূর্যের সাথে সম্পৃক্ত। এগুলো
সূর্য
থেকে
প্রকাশিত হওয়া
খুবই
সুস্পষ্ট। পৃথিবী
হতে
নয়।
হয়তো
এ ব্যাপারে আরো দলীল-প্রমাণ
রয়েছে।
সেগুলো
আমার
এ মুহূর্তে মনে আসছেনা। তবে
আমি
যা
উল্লেখ
করলাম,
এ বিষয়টির দ্বার উম্মুক্ত করবে
এবং
আমি
যা
উদ্দেশ্য করেছি,
তা
পূরণে
যথেষ্ট
হবে।
আল্লাহর তাওফীক
চাচ্ছি!
শাইখের
আলোচনা
শেষ
হলো
Link: পৃথিবী স্থির এবং সূর্যই পৃথিবীর চারদিকে ঘূর্ণয়মান
ফতওয়া আরকানুল ইসলাম by Allama uthaymeen(rh):
https://aadiaat.blogspot.com/2017/11/blog-post_5.html
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=334931086964090&id=282165055574027
++++++++++++
এবার আল অদিয়াতের ইসলামের দৃষ্টিতে সৃষ্টি তত্ত্বের ৮ম খন্ড থেকে পড়ুন। আপনারা জানেন যে এই আর্টিকেল গুলো অনেক বড় বড়। তাই আমি শুধু
আমাদের আলোচ্য বিষয়ের সাথে যতটুকু সঙ্গতিপূর্ণ ততটুকুই নিয়েছি।
আল্লাহ
বলেন:
وَهُوَ الَّذِي خَلَقَ اللَّيْلَ
وَالنَّهَارَ وَالشَّمْسَ وَالْقَمَرَ كُلٌّ فِي فَلَكٍ يَسْبَحُونَ
তিনিই সৃষ্টি করেছেন রাত্রি ও দিন এবং সূর্য ও চন্দ্র। সবাই আপন আপন কক্ষপথে বিচরণ করে।
[আম্বিয়াঃ৩৩]
আধুনিক
কাব্বালিস্টিক সুডো সায়েন্স আমাদেরকে বলে।
চাঁদ সূর্যের তুলনায় অতিশয় ক্ষু্দ্র। পৃথিবীর চেয়েই সূর্য ১৩ লক্ষগুন বড়! অথচ সত্য হচ্ছে আল্লাহ আযযা ওয়াযাল চাঁদ ও সূর্যকে সমান্তরাল কক্ষপথে রেখেছেন। চাঁদ সূর্য নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে একটির পিছনে আরেকটি আসমানি সমুদ্রের কক্ষপথে(ফালাকে) সন্তরনশীল। চাঁদ সূর্যকে স্পর্শ করতে পারে না, তেমনি সূর্য চাঁদকে ধরতে পারে না। প্রত্যেকেই নিজ নিজ কক্ষপথে পরিভ্রমনরত। এখানে 'প্রত্যেকে' দ্বারা আমি শুধু চাঁদ সূর্যের কথাই বলেছি। কিন্তু যারা আল্লাহর সৃষ্টির ব্যপারে মিথ্যাচার করে তারা কুরআনের আয়াতে যখন 'প্রত্যেকে' শব্দটিকে পায় তারা এর দ্বারা বলতে চায়, এই 'প্রত্যেকের' মধ্যে যার উল্লেখ নেই, সেটাও অন্তর্ভু্ক্ত। অর্থাৎ চাঁদ,সূর্য,পৃথিবী সবকিছুই!!! এদের যুক্তি হচ্ছে, যদি প্রাচীনকালে সুস্পষ্টভাবে পৃথিবীর গতির কথা বলা হত ,তবে মুসলিমরা মুরতাদ হয়ে যেত! নাউজুবিল্লাহ!!
আল্লাহ
সুবহানাহু ওয়া
তা'য়ালা এ আয়াতে
চাঁদ,সূর্য,দিন-রাত্রির বাইরে
অন্য
কিছুকে
উল্লেখ
করেননি। এখানে
'কুল্লুন' শব্দটি
দ্বারা
এই
চারটি
জিনিসের সবগুলোকে বোঝানো
হয়েছে। এর
বাহিরের কোন
কিছুকে
নয়। কোন
মুফাসসীরও এমনটি
বলেননি,উপরেই ইমাম ইবনে
কাসিরের তাফসির
উল্লেখ
করেছি (মূল ব্লগে পাবেন )।
কাফিরদের মনগড়া
থিওরি
গ্রহন
করা
ব্যধিগ্রস্ত মুসলিমরা এর
মধ্যে
পৃথিবীকেও অন্তর্ভু্ক্ত করে।
এতে
তাদের
ফায়দা
হলো,
কাফির
মুশরিকদের আকিদার
সাথে
নিজেদের সমন্বয়সাধন। ইসলাম
ও
বাতিলের মেলবন্ধন।
কুল্লুন শব্দটি
শুধু
এই
আয়াতেই
নয়,
আরো
অনেক
আয়াতে
রয়েছে।
আল্লাহ
বলেনঃ
وَالشَّمْسُ تَجْرِي لِمُسْتَقَرٍّ
لَّهَا ذَلِكَ تَقْدِيرُ الْعَزِيزِ الْعَلِيمِ
لَا الشَّمْسُ يَنبَغِي لَهَا أَن
تُدْرِكَ الْقَمَرَ وَلَا اللَّيْلُ سَابِقُ النَّهَارِ وَكُلٌّ فِي
فَلَكٍ يَسْبَحُونَ
সূর্য তার নির্দিষ্ট অবস্থানে আবর্তন করে। এটা পরাক্রমশালী, সর্বজ্ঞ, আল্লাহর নিয়ন্ত্রণ
সূর্য নাগাল পেতে পারে না চন্দ্রের এবং রাত্রি অগ্রে চলে না দিনের প্রত্যেকেই আপন আপন কক্ষপথে সন্তরণ করে
[ইয়াসিন ৩৮,৪০]
আল্লাহ বলেনঃ
يُولِجُ اللَّيْلَ فِي النَّهَارِ
وَيُولِجُ النَّهَارَ فِي اللَّيْلِ وَسَخَّرَ الشَّمْسَ وَالْقَمَرَ كُلٌّ يَجْرِي
لِأَجَلٍ مُّسَمًّى ذَلِكُمُ اللَّهُ رَبُّكُمْ لَهُ الْمُلْكُ وَالَّذِينَ
تَدْعُونَ مِن دُونِهِ مَا يَمْلِكُونَ مِن قِطْمِيرٍ
তিনি রাত্রিকে দিবসে প্রবিষ্ট করেন এবং দিবসকে রাত্রিতে প্রবিষ্ট করেন। তিনি সূর্য ও চন্দ্রকে কাজে নিয়োজিত করেছেন। প্রত্যেকটি আবর্তন করে এক নির্দিষ্ট মেয়াদ পর্যন্ত। ইনি আল্লাহ; তোমাদের পালনকর্তা, সাম্রাজ্য তাঁরই। তাঁর পরিবর্তে তোমরা যাদেরকে ডাক, তারা তুচ্ছ খেজুর আঁটিরও অধিকারী নয়
[ফাতিরঃ১৩]
خَلَقَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ
بِالْحَقِّ يُكَوِّرُ اللَّيْلَ عَلَى النَّهَارِ وَيُكَوِّرُ النَّهَارَ عَلَى
اللَّيْلِ وَسَخَّرَ الشَّمْسَ وَالْقَمَرَ كُلٌّ يَجْرِي
لِأَجَلٍ مُسَمًّى أَلَا هُوَ الْعَزِيزُ الْغَفَّارُ
তিনি আসমান ও যমীন সৃষ্টি করেছেন যথাযথভাবে। তিনি রাত্রিকে দিবস দ্বারা আচ্ছাদিত করেন এবং দিবসকে রাত্রি দ্বারা আচ্ছাদিত করেন এবং তিনি সুর্য ও চন্দ্রকে কাজে নিযুক্ত করেছেন প্রত্যেকেই বিচরণ করে নির্দিষ্ট সময়কাল পর্যন্ত। জেনে রাখুন, তিনি পরাক্রমশালী, ক্ষমাশীল
[যুমারঃ০৫]
أَلَمْ تَرَ أَنَّ اللَّهَ يُولِجُ
اللَّيْلَ فِي النَّهَارِ وَيُولِجُ النَّهَارَ فِي اللَّيْلِ وَسَخَّرَ الشَّمْسَ
وَالْقَمَرَ كُلٌّ يَجْرِي إِلَى أَجَلٍ مُّسَمًّى وَأَنَّ
اللَّهَ بِمَا تَعْمَلُونَ خَبِيرٌ
তুমি কি দেখ না যে, আল্লাহ রাত্রিকে দিবসে প্রবিষ্ট করেন এবং দিবসকে রাত্রিতে প্রবিষ্ট করেন? তিনি চন্দ্র ও সূর্যকে কাজে নিয়োজিত করেছেন। প্রত্যেকেই নির্দিষ্টকাল পর্যন্ত পরিভ্রমণ করে। তুমি কি আরও দেখ না যে, তোমরা যা কর, আল্লাহ তার খবর রাখেন?
[লোকমান-২৯]
চাঁদ-সূর্যের প্যারালাল (সমান্তরাল) অবস্থানে আবর্তনের বিষয়টি আরো স্পষ্ট
হয়,
যখন
আল্লাহ
চন্দ্রকে সূর্যের পিছনে
আসার
কথা
বলেন।
আল্লাহ
বলেন:
وَالْقَمَرِ إِذَا تَلَاهَا
শপথ চন্দ্রের যখন তা সূর্যের পশ্চাতে আসে[শামসঃ২]
চাঁদ সূর্যকে অনুসরণ করছে, এমনটা নয় যে পৃথিবীকে সূর্য আর পৃথিবীসহ সকল আসমানি বস্তু সূর্যকে,যেমনটা প্রচলিত বিজ্ঞান আমাদেরকে শেখায়। আল্লাহ বলেনঃ
وَسَخَّر لَكُمُ الشَّمْسَ وَالْقَمَرَ دَآئِبَينَ
তিনি তোমাদের জন্য সূর্য ও চন্দ্রকে একে অপরের অনুগামীরূপে বানিয়েছেন।(১৪:৩৩)
এর
দ্বারা
প্রমান
হয়
চাঁদ-সূ্র্য হেলিওসেন্ট্রিক প্যগান
কস্মোলজি অনুযায়ী সুবিশাল দূরত্বে অবস্থান করছে
না,
বরং
তারা
অনেক
কাছাকাছি। এতে
প্রমান
হয়
চাঁদ
ও
সূর্যের আকৃতিগত বৈষম্য
এতটা
বেশি
নয়
যেটা
শেখানো
হয়।
বরং,
তাদের
মধ্যকার আকৃতিগত বৈষম্য
অনেক
কম।
চাঁদ-সূর্য পরস্পর সন্নিকটস্থ, পৃথিবীরও অনেক
নিকটবর্তী দূরত্বে এদের
অবস্থান।
আল্লাহ
চাঁদ
সূ্র্য
উভয়কেই
দুটি
সূর্য (একজোড়া) হিসেবে সর্বপ্রথম সৃষ্টি
করেন। আজকের এই
চাঁদ
মূলত
আরেকটি
সূর্য
ছিল। এটা
সূর্যের ন্যয়
কিরণ
দিত। পরবর্তীতে চাদের
উপর
কালিমা
লেপন
করে
তার
আলোর
মাঝে
স্নিগ্ধতা আনয়ন
করা
হয়,
প্রখরতা কমিয়ে
রাতের
জন্য
উপযুক্ত করা
হয়। সূর্য
আকারে
চাদের
চেয়ে
বড়
এবং
এর
আলোর
প্রখরতাও বেশি।এ দুটি সূর্যকে যদি
প্রথমাবস্থাতেই রাখা
হত
তাহলে
দিন
রাত্রির পার্থক্য করা
মুশকিল
হত। সূর্যকে আরশের
আলো
দ্বারা
এবং
চাঁদকে
কুরসির
আলো
দ্বারা
মুড়িয়ে
দেওয়া
হয়। সূর্য
আদৌ
কোন
নক্ষত্র নয়,
যেমনটা
কাফিররা শেখায়। নক্ষত্র আল্লাহর সম্পূর্ন ভিন্ন
সৃষ্টি। আল্লাহ
কুরআনের সবস্থানে চাঁদ
সূর্য
,দিন-রাত্রি এবং তারকারাজিকে আলাদাভাবে উল্লেখ
করেন। এরা
প্রত্যেকেই স্বাধীন সৃষ্টি।
আল্লাহ
সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালা আরশের আলোকে সূর্যালোকের উৎস বানিয়েছেন। এ সংক্রান্ত হাদিস চাঁদের আলোচনায় পূর্বেই উল্লেখ করেছি। সূর্য আকারে চাঁদের চেয়ে কিছুটা বড়, কিন্তু নূনের পৃষ্ঠে সমতলে বিছানো যমীনের তুলনায় অনেক ছোট।আল্লাহ
এর জন্য একটি কক্ষপথ নির্দিষ্ট করে রেখেছেন। সূর্য সত্যিই উদিত হয় এবং অস্ত যায়। এটা পার্স্পেক্টিভের ইল্যুশন না আদৌ, যেমনটা কাফিররা বলে থাকে। সারা আসমান একবার প্রদক্ষিন করে পশ্চিম দিকের কালো পানিতে সেটা অস্ত যায়। সূর্য ডুবে যাবার পর সেটা যমীনের তলদেশে চলে যায়।
অতঃপর,
তা এক আসমান থেকে অপর আসমানে যেতে থাকে, এর পর সর্বোচ্চ আসমানে পৌছে আল্লাহর প্রতি সিজদাবনত অবস্থায় উদিত হবার জন্য অনুমতি প্রার্থনা করতে থাকে। অতঃপর যমীনের বিপরীত পূর্বে গিয়ে উদিত হয়। হয়ত, পুরো বিষয়টা অনেক দ্রুত হয়, তাই আমরা একদিকে অস্ত অন্যদিকে উদীত হবার মাঝে সময়ের তেমন কোন পার্থক্য অনুভব করিনা। ওয়া আল্লাহু আ'লাম। যা উল্লেখ করলাম এসব কুরআন সু্ন্নাহ ভিত্তিক তথ্য, কোন কাফির মুশরিকদের মনগড়া বানীভিত্তিক কিছু নয়।
আবূ যার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর পিছনে একই গাধার পিঠে বসা ছিলাম, তখন সূর্য অস্ত যাচ্ছিল। তিনি আমাকে বললেনঃ তুমি কি জানো, এটা কোথায় অস্তমিত হয়? আমি বললাম, আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলই ভালো জানেন। তিনি বলেনঃ “এটা উষ্ণ পানির এক ঝর্ণায় অস্তমিত হয়” (সূরাহ কাহ্ফঃ ৮৬)। [৪০০২]
সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ৪০০২
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
عن أبي ذر -رضي الله عنه- قال:
كنت مع النبي صلى الله عليه وسلم على حمار وعليه برذعة أو قطيفة قال: فذاك عند
غروب الشمس, فقال لي: «يا أبا ذر هل تدري أين تغيب هذه؟» قال: قلت: الله ورسوله
أعلم. قال: «فإنها تغرب في عين حامئة تنطلق حتى تخر لربها -عز وجل- ساجدة تحت العرش
فإذا حان خروجها أذن الله لها فتخرج فتطلع، فإذا أراد أن يطلعها من حيث تغرب حبسها
فتقول: يا رب إن مسيري بعيد، فيقول لها: اطلعي من حيث غبت فذلك حين لا ينفع نفسا
إيمانها ». ( حم ) صحيح
আবু যর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
তিনি বলেনঃ আমি একটি গাধার ওপর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)ের সাথে ছিলাম। তখন তার উপর একটি পাড়যুক্ত চাদর ছিল। তিনি বলেনঃ এটা ছিল সূর্যাস্তের সময়, তিনি আমাকে বলেনঃ “হে আবু যর তুমি জান এটা কোথায় অস্ত যায়?” তিনি বলেনঃ আমি বললামঃ আল্লাহ এবং তার রাসূল ভাল জানেন। তিনি বলেনঃ সূর্যাস্ত যায় একটি কর্দমাক্ত ঝর্ণায়, সে চলতে থাকে অবশেষে আরশের নিচে তার রবের জন্য সেজদায় লুটিয়ে পড়ে, যখন বের হওয়ার সময় আল্লাহ তাকে অনুমতি দেন, ফলে সে বের হয় ও উদিত হয়। তিনি যখন তাকে যেখানে অস্ত গিয়েছে সেখান থেকে উদিত করার ইচ্ছা করবেন আটকে দিবেন, সে বলবেঃ হে আমার রব আমার পথ তো দীর্ঘ, আল্লাহ বলবেনঃ যেখান থেকে ডুবেছে সেখান থেকেই উদিত হও, এটাই সে সময় যখন ব্যক্তিকে তার ঈমান উপকার করবে না”। [আহমদ]
সহিহ হাদিসে কুদসি, হাদিস নং ১৬১
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
আধুনিক
(অপ)বিজ্ঞান অনুযায়ী যেহেতু সূর্য ৯৩মিলিয়ন মাইল
দূরে
অবস্থিত এবং
পৃথিবী
সূর্যের তুলনায়
১৩
লক্ষগুন ছোট
,তাই
সূর্যের পক্ষে
১৩
লক্ষগুন ক্ষুদ্র যমীনে
অস্তমিত হওয়া
অসম্ভব
ব্যপার। বিষয়টা
একেবারেই কল্পনারও অযোগ্য
ও
অযৌক্তিক। এজন্য কাফিরদের সাথে
সুর
মেলানো
মুসলিমরা বলে,এ আয়াতের দ্বারা
অবজারভারের পার্স্পেক্টিভ থেকে
সূর্যকে অস্ত
হতে
দেখার
বিষয়টি
এখানে
বলা
হয়েছে।কিন্তু সূর্য কখনোই
ফিজিক্যালি অস্তমিত হয়
না,
সূর্য
তার
অবস্থানে স্থির
রয়েছে। পৃথিবীই বরং
ঘূর্ননের দরুন
সূর্যোদয় ও
সূর্যাস্তের ইল্যুশন তৈরি
করছে!
এখন
প্রশ্ন
হচ্ছে
এ
যুগের
মুসলিমরা যেভাবে
নিজেদের মত
ব্যাখ্যা তৈরি
করে
নিয়েছে
, সাহাবীগন(রাঃ)
এ
আয়াতের
ব্যাখ্যায় কি
বলেছিলেন? নিশ্চয়ই সাহাবীরা(রাঃ)
হচ্ছেন
হক্কের
মাপকাঠি। তাদের
আকিদা
ও
ব্যাখ্যাই সর্বাধিক বিশুদ্ধ এবং
সত্য।
আল্লাহ
চাঁদ
সূর্য
উভয়কেই
সৃষ্টি
করেন
দুটি
সূর্য
হিসেবে। উভয়ের
একই
বৈশিষ্ট্যের ফলে
রাত
দিন
আলাদা
করা
মুশকিল
হয়ে
ছিল। এজন্য
জিব্রাইল(আঃ)
এর
দ্বারা
চাঁদের
উপর
কালিমা
লেপন
করে
আলো
কমিয়ে
রাতের
উপযোগী
করা
হয়।
আল্লাহ
সুবহানাহু ওয়া
তা'য়ালা নিম্নতম আসমানে
চাঁদ
ও
সূর্যের জন্য
কক্ষপথ
নির্ধারন করেছেন। আসমানী
সমুদ্রের কক্ষপথে চাঁদ
ও
সূর্যের জন্য
৩৬০
জন
করে
ফেরেশতা নিয়োগ
করেছেন
যারা
চাঁদ
সূর্যকে টেনে
নিয়ে
যায়।
আল্লাহ
সমতল
পৃথিবীর পূর্বে
ও
পশ্চিমে ১৮০টি
করে
উত্তপ্ত কালো
পানির
জলাশয়
তৈরি
করেছেন,
চাঁদ
সূর্য
প্রতিদিন ভিন্ন
ভিন্ন
স্থানে
অস্তগমন করে,
তেমনি
১৮০টির
মধ্যে
প্রতিদিন ভিন্ন
ভিন্ন
স্থান
থেকে
উদিত
হয়।
শীত
ও
গ্রীষ্মে উদয়াচল
ও
অস্তাচলে সূর্যের উদয়
অস্তের
স্থান
পরিবর্তন করে,
এতে
দিন
রাত্রির দৈর্ঘ্য বাড়ে
কমে।
এজন্য
আল্লাহ
বলেনঃ
"তিনি দুই উদয়াচল ও দুই অস্তালয়ের মালিকl"
(আর রহমান; আয়াত ১৭)
"আমি শপথ করছি উদয়াচল ও অস্তাচলসমূহের পালনকর্তার, নিশ্চয় আমি সক্ষমl"
(আল মা'আরিজ; আয়াত ৪০)
আল্লাহ
সুবহানাহু ওয়া
তা'য়ালা আসমানে পূর্ব থেকে
পশ্চিম
পর্যন্ত দড়ির
ন্যায়
পানির
কক্ষপথ
নির্মান করেন।
এতে
পানির
গতি
ধনুকের
তীরের
ন্যায়
। চাঁদ-সূর্য
এবং
অন্যান্য নক্ষত্রসমূহ এ কক্ষপথে সন্তরনশীল।
একটা প্রশ্ন আসে, সূর্যের কক্ষপথ প্রথম অথবা চতুর্থ আসমানে হলে কর্দমাক্ত জলাশয়ে অস্তগমনের পর যমীনের নিচে দিয়ে আরশের নিচে সিজদা দিতে কিভাবে যায়? আরশ তো সপ্তম আসমানের উপরে...।
এর উত্তর বেশ কিছু হাদিসে আলাদাভাবে দেওয়া আছে।
সাত আসমান ও যমীন কুরসির ভেতর। কুরসির উপর আরশ। আরশ সমস্ত সৃষ্টিকে বেষ্টন করে আছে। তাই যমীনের নিচে গেলেও সূর্য আরশের নিচেই আছে।হয়ত, আসমানের প্রান্তভাগ যমীনের নিচে এমনভাবে আছে যে সূর্যাস্তের সাথে সাথে সে একেক আসমানের স্তর ভ্রমন করতে থাকে। সেগুলো হয়ত এরূপ যে পরস্পরের মাঝে দূরত্ব কম।সূর্যাস্তের পর এরূপ সাত আসমান ভ্রমন করে আরশের নিচে যাবার কথা কিছু হাদীসে এসেছে। বিষয়টা আমরা যেভাবে বর্ননা করব সেরকম নাও হতে পারে, আমরা বিশ্বাস করি সব কিছুই হাদীসের বর্ননা অনুযায়ীই হয়, তবে সেটা আমাদের আকলী জ্ঞানের বাইরে। মানুষের সীমাবদ্ধ জ্ঞানে কোন কিছু না বুঝে আসার মানে এই নয় যে ওটা ঐরূপ নয়। কুরআন সুন্নাহর ব্যপারে আমাদের উচিৎ এরূপ বিশ্বাস রাখা যে "শুনলাম এবং মানলাম"। ওয়া আল্লাহু আ'লাম।
(collected from al-adiat)
Post link: https://aadiaat.blogspot.com/2019/05/blog-post.html
RM: আল অদিয়াতের আলোচনা শেষ হলো। আশা করি বুদ্ধিমানরা সূর্যের গতিপথ এবং আমেরিকার সাথে বাংলাদেশের দিন রাত্রির পার্থক্য কেন হয় তা বুঝে ফেলেছেন। অর্থাৎ উপরক্ত আলোচনা থেকে বের করতে সক্ষম হয়েছেন, আলহামদুলিল্লাহ।
((তুমি সূর্যকে দেখবে, যখন উদিত হয়, তাদের গুহা থেকে পাশ কেটে ডান দিকে চলে যায় এবং যখন অস্ত যায়, তাদের থেকে পাশ কেটে বামদিকে চলে যায়, অথচ তারা গুহার প্রশস্ত চত্বরে অবস্থিত।))
এবার তাফসীরে ইবনে কাসীরের স্ক্রিন শট দেখুন। ওখানে বলা হয়েছে গুহার মুখটি পূর্ব বা পশ্চিমে নয় বরং বাম দিকে। অর্থাৎ সম্ভবত উত্তর দিকে। আল্লাহু আলম। তাহলে সূর্য উদয়ের সময় কিছুটা আলো গুহার মুখ দিয়ে প্রবেশ করে। তারপর সূর্য ডান দিকে অর্থাৎ দক্ষিণ দিকে বেঁকে যায়। আবার সূর্য অস্তের সময় দ্বিতীয়বার গুহা মুখে আলো পতিত হয়। অর্থাৎ সূর্য বাম দিকে (কিছুটা উত্তর- পশ্চিম) বেঁকে অস্ত যায়। প্রদত্ত ছবিগুলোতেও আপনারা তাই দেখতে পাচ্ছে। সূর্য উত্তর - পূর্ব দিক থেকে উদয় হয়ে ডান (দক্ষিণ) দিকে বেঁকে গিয়ে আবার বামে (উত্তর-পশ্চিমে) অস্ত যাচ্ছে। আল্লাহু আলম।
এবার আসুন দেখি আমেরিকার সাথে কেন বাংলাদেশের দিন ও রাতের পার্থক্য হয়:
প্রথমেই বুঝতে হবে, দিন রাতের সাথে সূর্যের কোনো সম্পর্ক নেই। সূর্য ছাড়াও দিন রাত হতে পারে। প্রত্যেকেই আলাদা মাখলুখ। সুতরাং মুমিন হিসেবে আমাদের প্রথম কথা হচ্ছে আল্লাহর হুকুমেই দিন রাতের পার্থক্য হয়। আর যারা ব্যাখ্যা চান তাদের জন্য আরও কিছু কথা সংযোজন করতে হচ্ছে। আল অদিয়াতের আলোচনা থেকে আমরা জানলাম যে সূর্য পৃথিবী থেকে অনেক ছোট। যারা এটা বিশ্বাস করেননা, তারা তো কখনোই বুঝতে পারবেননা। তারা মনে করেন পৃথিবী সমতল হলে পুরো পৃথিবীতে একসাথে দিন হয়ে যেত। এখানেই তারা বিভ্রান্ত হয়ে পড়েন।
অথচ বাস্তবতা হলো সূর্য পৃথিবী থেকে ছোট এবং অনেক কাছে অবস্থিত। এবার জাতিসংঘের সমতল পৃথিবীর ম্যাপ (এই ম্যাপ একদম সঠিক কিনা তা আমরা জানিনা, আল্লাহু আলম) ও সূর্যের গতিপথ মিলিয়ে নিন। দেখুন আমরা যখন সূর্যকে ডুবে যেতে দেখি, তখন আমেরিকায় সূর্যকে উদয় হতে দেখা যায়। আশা করি বুঝতে পেরেছেন। তাও যদি না বুঝেন তাহলে আপনার মোবাইলের ফ্ল্যাশ লাইট দিয়ে একটি অন্ধকার রুমে বিছানার উপরে পরীক্ষা করুন। দেখতে পাবেন একদিকে যখন দিন, তখন স্বাভাবিক ভাবেই আরেকদিকে রাত।
N:B: আমরা যে সূর্যকে ডুবে যেতে দেখি, সেটা পার্সপেক্টিভ (পরিপ্রেক্ষিত)। অর্থাৎ অনেক দূরের জিনিসকে নিচে নেমে গেছে বলে মনে হয়। কিন্তু বাস্তবতা তা নয়। যেমন আমরা আকাশকে নেমে যেতে দেখি কিন্তু আকাশ নেমে যায়নি। বিষয়টা আরো সহজে বুঝতে পারবেন যখন কোনো হাইওয়ে রাস্তার ল্যাম্প পোস্ট গুলোর দিকে তাকাবেন। তবে হা, সম্পূর্ণ দিন শেষে অর্থাৎ ২৩ ঘন্টা ৫৬ মিনিট পর সূর্য, কর্দমাক্ত জলাশয়ে ফিজিক্যালি অস্ত যায়। এসব বিষয় অন্য জায়গায় আলোচনা হয়েছে। আল আদিয়াত ব্লগের সৃষ্টি তত্ত্বের ১২ টি পর্ব পড়লে বুঝতে পারবেন ইনশাআল্লাহ।
Comments
Post a Comment