সমতলে বিছানো পৃথিবীতে নর্থ ও সাউথ পোল, ষ্টার ট্রেইলস, অরোরা লাইট & আলাষ্কা:


 


গবেষকরা প্রকৃতির হাজারো রহস্য এখনো উন্মোচন করতে পারেনি। এতে নিশ্চই আপনি বলবেন না যে, যেহেতু এসব রহস্য উদ্ঘাটিত হয়নি, সুতরাং গবেষকদের কোনো অস্তিত্ব নেই। একই ভাবে সমতলে বিছানো পৃথিবীতে কিছু ব্যাখ্যা না পাওয়াতে আপনি এই কুরআনিক সৃষ্টি তত্ত্বকে অস্বীকার করতে পারেন না। অর্থাৎ কোনো প্রাকৃতিক রহস্যের ব্যাখ্যা না পেলে, স্থির ও সমতলে বিছানো পৃথিবী নিশ্চই ঘূর্ণায়মান ও বলাকার হয়ে যাবে না।

টাইটেলে বর্ণিত বিষয়গুলো ব্যাখ্যা পাওয়া বা না পাওয়ার সাথে সমতলে বিছানো পৃথিবীর কোনো সম্পর্ক নেই। সব ব্যাখ্যা পেতেই হবে এমন কোনো কথা নেই। সমস্ত ব্যাখ্যা যদি আপনি বিজ্ঞানের আলোকে পেতে চান, তাহলে একসময় আপনার অন্তর বিজ্ঞানের প্রতিই শ্রদ্ধাশীল হয়ে উঠবে। ইসলামের প্রতি নয়।  আপনার সাবকনশাস (নফস) মাইন্ড আপনাকে দিয়ে এটা করাবে। সুতরাং কিছু জিনিস সম্পূর্ণ আল্লাহর দিকে ছেড়ে দিয়ে অন্তরের গভীর থেকে সুবহানআল্লাহ বলতে হয়। কথিত বিজ্ঞানীদের অপব্যাখ্যা দেখে তৃপ্তির ঢেকুর তুলতে হয়না।

এখন অনেকেই হয়তো বলবে: ব্যাখ্যা দিতে না পেরে এসব কথা। তাদের জন্য সাধ্যমত কিছু ব্যাখ্যা দেয়া হলো।

নর্থ সাউথ পোল

২১ মার্চ থেকে ২৩ সেপ্টেম্বর ছয় মাস উত্তর মেরুতে অবিরত দিন দক্ষিণ মেরুতে অবিরত রাত থাকে ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে ২১ মার্চ ঘটে উল্টোটি মানে মাস একটানা দক্ষিণ মেরুতে দিন উত্তর মেরুতে রাত তার মানে ২১ মার্চ ২৩ সেপ্টেম্বর হচ্ছে মেরুদ্বয়ে রাত দিন পাল্টানোর দুই প্রান্তিক তারিখ এই দুই দিন উভয় মেরু সূর্য থেকে সমান দূরে থাকে

২১ মার্চের পর সূর্য উত্তর মেরুর  দিকে ঝুঁকতে থাকে। ঝুঁকতে ঝুঁকতে ২১ জুন গিয়ে ঝোঁকার পরিমান হয় সর্বোচ্চ। ২১ জুনের পর সূর্য এবার উত্তর মেরু থেকে দূরে সরতে থাকে। সরতে সরতে ২৩ সেপ্টেম্বরে দক্ষিণ মেরু থেকে সূর্য সমান দূরত্বে থাকে। এই ছয় মাস উত্তর মেরুতে (প্রকৃত অর্থে মেরুবৃত্তে) সূর্য দিগন্তের উপরে অবস্থান করে। তাই তখন এখানে দিন। অপর দিকে এই সময় দক্ষিণ মেরুবৃত্ত দিগন্তের নিচে অবস্থান করায় সেখানে রাত হয়

সূর্য, উত্তর মেরু থেকে সরতে সরতে ২৩ সেপ্টেম্বরে এসে দক্ষিণ মেরুর সমান দূরত্বে পৌঁছেছিল এবার সে আরো সরতে থাকে এভাবে ২২ ডিসেম্বর সূর্য, উত্তর মেরুর সবচেয়ে দূরে দক্ষিণ মেরুর সবচেয়ে কাছে থাকে এবার সূর্যের আবার সরার পালা সূর্য সরতে থাকে আর উত্তর মেরুর দূরত্ব পুনরায় কমতে থাকে।

এভাবে ২১ মার্চ আবার সূর্য, দুই মেরু থেকে সমান দূরে থাকে। ফলে, এই ছয় মাস দক্ষিণ মেরুতে দিন আর উত্তর মেরুতে রাত হয়

অর্থাৎ সূর্য আবার উত্তর মেরুর দিকে রওয়ানা দেয় এবং দক্ষিণ মেরু থেকে দূরে সরতে থাকে। এভাবেই মাস দিন রাত হয়। সহজ কথায়, সূর্য যখন উত্তর মেরুতে থাকে তখন ঐদিকে মাস দিন থাকে আর দক্ষিণ মেরুতে মাস রাত থাকে। ঠিক একই ভাবে দক্ষিণ মেরুর ব্যাপারটাও তাই। প্রদত্ত ছবির দিকে ভালো করে খেয়াল করলে খুব সহজেই বুঝে ফেলবেন ইনশাআল্লাহ।





 

আলাষ্কা

এবছর (2020) আর সূর্যের (Sun) দেখা পাবেন না আলাস্কার (Alaska) এই শহরের বাসিন্দারা! উৎকিয়াৎভিক নামের এই ছোট্ট শহর ২০২০ সালের শেষ সূর্যাস্ত দেখে ফেলেছে গত বুধবার ওইদিন স্থানীয় সময় দেড়টা নাগাদ দিগন্তের নিচে চলে গিয়েছে সূর্য আবার সে ফিরে আসবে ২০২১ সালের ২২ জানুয়ারি! মাঝে ৬৫ দিন সূর্যের সাক্ষাৎ পাবেন না ব্যারো নামে পরিচিত এই শহরের অধিবাসীরা

হ্যাঁ, এটি অবিশ্বাস্য তবে সত্য! আদতে পৃথিবীর একেবারে প্রান্তদেশে অবস্থানের কারণেই এমনটা ঘটে। এই সময়টাকে বলেপোলার নাইট’ (Polar Night) অর্থাৎ মেরু রাত্রি। আর্কটিক সার্কেলের উত্তরে অবস্থিত ছোট্ট শহরটি তার বার্ষিক অন্ধকার সময়ে প্রবেশ করেছে, যা পোলার নাইট হিসাবে পরিচিত

তাহলে কি এই দুমাসেরও বেশি সময় অন্ধকারে ডুবে থাকবে শহরটা? না, তেমনটা হবে না। এই সময়কালে রোজই ভোর হবে নিয়ম করে। তবে দীর্ঘ সময় ধরে নয়, আলো থাকবে কয়েক ঘণ্টা। তারপর তা কমে গিয়ে অন্ধকার নেমে আসবে। কিন্তু আলো থাকার সময়ও দিগন্তের উপরে মুখ তুলতে দেখা যাবে না সূর্যকে। সে থাকবে অদৃশ্যই

উপরের নর্থ পোল সাউথ পোলের আলোচনা থেকে নিশ্চই বুঝে ফেলেছেন, এখানে কি হয়আলাস্কা যেহেতু পৃথিবীর উত্তর দিকে, আর শীতকালে সূর্য দক্ষিণ মেরু বা গোলার্ধে চেপে যায়সেহেতু ওখানে এমনটা হওয়া খুব স্বাভাবিকশুধু আলাস্কাই নয়ওখানের আশেপাশের আরো অনেক দেশেই এমন ঘটনা ঘটেএমনকি রাতের বেলায়ও  সূর্যকে (মিড্ নাইট সান) দেখা যায় 

ব্যপারে নিচের আর্টিকেল টি পড়তে পারেন

পৃথিবীতে রয়েছে এমন কিছু স্থান যেখানে সূর্য কখনোই ডোবেনা! জেনে নিন এমনই কিছু স্থান সম্পর্কে
. নরওয়ে
শুনতে অবাক করা হলেও নরওয়ের উচ্চ অক্ষাংশের জন্যে এখানকার বেশিরভাগ স্থানে গরমের সময়টা, অর্থাৎ মে থেকে জুলাই অব্দি সূর্য ঝুলে থাকে সীমান্তের কাছাকাছিতে ডোবেনা একেবারেই তবে এতো গেল বেশিরভাগ স্থানের কথা দেশটির বাকী সব জায়গাগুলোতে সময় টানা ২০ ঘন্টা সূর্যের তাপ পুরোদমে থাকে আকাশে ( হ্যালো ট্র্যাভেল ) আর উত্তর নরওয়ে? ওখানে সূর্যটা ডোবে কখন সেটাই চিন্তার বিষয় সারাটা সময় ফকফকা সূর্যের
আলোতে চকমকে হয়ে থাকে পুরোটা দেশ
. ইনুভিক
কানাডার উত্তরপশ্চিমে অবস্থিত ইনুভিক নামে সবার কাছে পরিচিত স্থানটি তবে তার চাইতেও আরো বেশি পরিচিত এর গরমকালের আবহাওয়ার জন্যে ঘুরতে যদি যেতে চান কোথাও তাহলে আপনার জন্যে নরওয়ের পরপরই তালিকায় দ্বিতীয় স্থনে থাকতে পারে এই স্থানটি ইনুভিকে গরমের সময়ে টানা ৫০ দিন ধরে সূর্য আকাশের কোলে আটকে থাকে শক্তভাবে ( হ্যালো ট্র্যাভেল ) টেনেও তাকে নামানো যায়না আর তাই খুব কম সময়েই এখানকার সব জায়গাগুলো ঘুরে দেখে ফেলা যায় সহজেই!
. সুইডেন
অন্যান্য সূর্য না ডোবা দেশগুলোর তুলনায় একটু বেশি উষ্ণ সুইডেনে সূর্য ডোবে একদম মাঝরাতে আবার জেগেও ওঠে ভোর .৩০ আর প্রতি বছরের মে মাস থেকে শুরু করে আগস্টের শেষ অব্দি এমনটা চলতে থাকে এখানে ( আইডিভা ) তোর আর দেরী কেন? এক্ষুণি সময় বের করে নিন আর লম্বা একটা দিনকে উপভোগ করে আসুন সুইডেন থেকে
. আলাস্কা
মে মাসের শেষ থেকে জুলাই মাসের শেষ পর্যন্ত কখনোই সূর্য ডোবেনা আলাস্কায় এছাড়া বছরের বাকি সময়গুলোতে কঠিন একটা অন্ধকারময় আর শীতল সময়ের ভেতর দিয়ে যেতে হয় একে উঁচু উঁচু পাহাড়, জমাট বরফ, তিমি দেখাসহ বিনোদনের কোন মাধ্যমটি নেই এখানে? একবার ভাবুন তো মাঝরাতে কেমন লাগবে আপনার যখন জানলা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে পাহাড়ের মাথায় তুষারকে রোদে চকমক করতে দেখবেন আপনি?

উপরের সবগুলো অঞ্চলই পৃথিবীর উত্তর দিকে অবস্থিত। কোনটা একদম  বরাবর উত্তরে, কোনটা উত্তর পশ্চিমে আর কোনটা উত্তর পূর্বে। তাই এসব অঞ্চলে এরকম হয়ে থাকে। আবার এসব অঞ্চলে মিডনাইট সানও  দেখা যায়। সূর্যের মূল গতিপথ হলো মধ্যপ্রাচ্যের আকাশ। তাই মধ্যপ্রাচ্যের আশেপাশের অঞ্চলগুলো ছাড়া অন্যান্য দিক গুলোতে এমন তারতম্য দেখা যায়।

সূর্য গতিশীল

সুরা ইয়াসীন, আয়াত ৩৮

وَالشَّمْسُ تَجْرِي لِمُسْتَقَرٍّ لَّهَا

সূর্য তার গন্তব্যের দিকে গতিময় আছে

 

সূর্য পৃথিবীর সাপেক্ষ ঘোরে:

وَتَرَى الشَّمْسَ إِذَا طَلَعَت تَّزَاوَرُ عَن كَهْفِهِمْ ذَاتَ الْيَمِينِ وَإِذَا غَرَبَت تَّقْرِضُهُمْ ذَاتَ الشِّمَالِ

"আপনি দেখবেন যে সূর্য উদয়কালে ডানদিক থেকে তাদের গুহার দিকে হেলে পড়ে এবং যখন অস্ত যায় তখন বামদিক থেকে তাদের পাশ কেটে যায়।" (সুরা কাহফ, আয়াত ১৭)

https://aadiaat.blogspot.com/2017/11/blog-post_5.html




 

ষ্টার ট্রেইলস,

উত্তর গোলার্ধ থেকে, তারাগুলি আকাশের উত্তর মেরুতে ঘড়ির কাঁটার বিপরীতে চলে আসে; তবে আপনি যদি পৃথিবীর দক্ষিণ গোলার্ধের কোনও স্থানে দাঁড়িয়ে থাকেন, তারকারা আকাশের দক্ষিণ মেরুতে ঘড়ির কাঁটার দিকে এগিয়ে চলেছে

তারকারাজি প্রচলিত বিজ্ঞানের ভ্রান্ত তত্ত্বানুযায়ী কাল্পনিক  মহাশূন্যের এদিক ওদিক অনন্তের দিকে ছুটছে না

বরং এরা এই পৃথিবী তথা প্রথম জমিনের কে কেন্দ্র করে চক্রাকারে ঘুরছে। ক্যামেরার লং এক্সপোজারের ছবিতে তারকাদের ট্রেইলকে চমৎকারভাবে দেখা যায়

হেলিওসেন্ট্রিস্টদের ব্যাখ্যা হচ্ছে পৃথিবীর ঘূর্ননের ফলে এইরূপ ট্রেইল দেখা যায়! তাদের কথা যদি সত্যি হয়,অর্থাৎ পৃথিবী যদি সত্যিই ঘুরে তাহলে পোলারিস স্টার বা নর্থ স্টারকে(একদম মাঝের বিন্দুতে অবস্থানকারী তারকা) সারাজীবন স্থিরভাবে ওখানেই দেখা যায়? পৃথিবীর সামান্য মুভমেন্টেই তো এই তারকাকে ওই স্থানে আর পাওয়া যেত না। এটা প্রমান করে পৃথিবী স্থির, এবং সমস্ত চলমান তারকা পৃথিবীকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হচ্ছে। অর্থাৎ জিওসেন্ট্রিসিটি। তারকাদের এই চক্রাকারে পৃথিবী কেন্দ্রিক ঘূর্নন আকাশের গম্বুজ আকৃতিকেও প্রকাশ করে

https://youtu.be/ahNfU7zYlmY

সর্বোপরি, পৃথিবী কারনেই স্থির যে, কন্সটেলেশন চিরকাল ধরে অপরিবর্তিত হয়ে আছে। হাজার বছর ধরে সকল তারকারা একই কক্ষপথে চলছে এবং স্থির আছে, প্রসিদ্ধ কোন তারকাই হারিয়ে যায়নি।অথচ প্রতিষ্ঠিত কস্মোলজি আমাদের বলে, সূর্য পৃথিবী সহ গ্রহদের নিয়ে মহাশূন্যের অজানা গন্তব্যে প্রচণ্ড গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। এগুলো যে সুস্পষ্ট মিথ্যাচার, সেটা খুবই স্পষ্ট উপলব্ধ।

জিওসেন্ট্রিক কস্মোলজি[নক্ষত্রমালা]

https://aadiaat.blogspot.com/2019/01/blog-post_49.html

for more:

https://aadiaat.blogspot.com/2018/12/blog-post_76.html

https://aadiaat.blogspot.com/2018/12/wandering-stars_10.html

https://aadiaat.blogspot.com/2017/11/blog-post_7.html








 

 

 

অরোরা লাইট

অরোরা বা মেরুজ্যোতির নাম আমরা সবাই শুনেছি, কিন্তু তা সৃষ্টি হওয়ার রহস্য হয়তো আমাদের মাঝে অনেকেরই জানা নেই
অরোরা হলো মেরু অঞ্চলের আকাশে দৃশ্যমান অত্যন্ত মনোরম এবং বাহারী আলোকছটা যাকে এক সময় অতিপ্রাকৃতিক বলে বিবেচনা করা হলেও বর্তমানে তা নিতান্তই প্রাকৃতিক ঘটনা বলে প্রমাণিত
সাধারণ ভাবে বলতে গেলে, বায়ুমন্ডলের থার্মোস্ফিয়ারে থাকা অক্সিজেন নাইট্রোজেন পরমাণুর সাথে ম্যাগনেটোস্ফিয়ার থেকে আসা চার্জিত কণিকাসমূহের (প্রধা্নত ইলেক্ট্রন, কিছু ক্ষেত্রে প্রোটন) সংঘর্ষের ফলেই অরোরা তৈরী হয় সংঘর্ষের কারণে পরমাণু বা অণুসমূহ কিছু শক্তি লাভ করে চার্জিত কণিকাসমূহের কাছ থেকে যা অভ্যন্তরীণ শক্তি হিসেবে সঞ্চিত হয় এসব অভ্যন্তরীণ শক্তি যখন আলোকশক্তি হিসেবে বিকরিত হয়, তখনই মেরুজ্যোতি দেখা যায়

উত্তর অক্ষাংশে অরোরা  সুমেরুজ্যোতি বা সুমেরুপ্রভা (Aurora Burealis/The Northern Light)  নামে পরিচিতএবং দক্ষিণ অক্ষাংশে একে বলা হয় Aurora Australis (or The Southern Light).

অরোরার সবচেয়ে পরিচিত রঙ যা অধিকাংশ সময় দেখা যায় তা হলো সবুজাভ-হলুদ, তার জন্য দায়ী অক্সিজেন পরমাণু অক্সিজেন থেকে অনেকক্ষেত্রে লাল রঙ এর অরোরাও তৈরী হয় নাইট্রোজেন সাধারণত একটি নীল রঙের আলো দেয়

অরোরা দর্শনের সবচেয়ে ভালো স্থান হলো আলাস্কা, কানাডা, এবং স্ক্যান্ডিনেভিয়ার কিছু অঞ্চল এসব স্থানে প্রায় নিয়মিতই মেরুজ্যোতি চোখে পড়ে তবে মেরূপ্রভা সূর্যালোক থেকে অনেক ম্লান হওয়ায়, তা পৃথিবী থেকে দিনের বেলায় দেখা যায় না

এছাড়াও কানাডিয়ান সীমান্তের কাছাকাছি  যুক্তরাষ্ট্রের উত্তরসীমায়  সাধারণত বছরে কয়েক বার অরোরা দেখা যায়
কিছু দুর্লভ মুহূর্তে, হয়তো প্রতি দশকে একবার, ফ্লোরিডাতে কিংবা সুদূর দক্ষিণে জাপানেও অরোরা দৃশ্যময়ান হয়



অরোরা লাইট একটি প্রাকৃতিক বিষয় রংধনুর মতোই আল্লাহর আরেকটি বিশেষ কুদরত প্রচলিত বিজ্ঞান যেই ব্যাখ্যায় দেক না কেন, আমরা মনে করি এটা আল্লাহর বিশেষ নিদর্শন, যা দিয়ে বান্দাকে নিজের প্রভুর বড়ত্ব সৌন্দর্যতাকে মনে করিয়ে দেয়া হয় এরকম অসংখ প্রাকৃতিক রহস্য আছে সব তো উদ্ঘাটন করা সম্ভব নয় আর সবকিছুর বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা খোঁজার পিছনে সময় নষ্ট করাও বোকামি

নর্থ সাউথ পোল, ষ্টার ট্রেইলস, অরোরা লাইট, আলাষ্কা সহ আরো কিছু বিষয় দিয়ে অনেক ভাই সমতলে বিছানো পৃথিবীকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়। যারা পুরো লিখাটি ভালো করে পড়েছেন তারা খুব ভালো করেই বুঝেছেন যে, এগুলো দিয়ে ওই প্রশ্ন করা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। সমতলে বিছানো পৃথিবীতে এগুলো কিভাবে হয়, এ ব্যাপারে আশা করি আর কোনো দ্বিধা  দ্বন্দ্ব পাঠকের মধ্য নেই।

আল্লাহ তায়ালা আমাদের অন্তর গুলোকে পরিচ্ছন্ন করে দিন। আমিন।


Comments

Popular posts from this blog

পোলিও টিকাতে মূল উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হয় বানরের কিডনি:

আপনার শিশুকে টিকা দিতে চান? তার আগে সত্য জানুন!

ডাইনোসর নিয়ে যত জল্পনা কল্পনা: