ছেলে-মেয়ে কখন বালেগ হয়?

 ছেলে ও মেয়ে উভয়ের বালেগ (প্রাপ্ত বয়স্ক) হওয়ার বয়সসীমা ও আলামত ইসলামের পক্ষ থেকে নির্ধারিত রয়েছে। কোনো ছেলে বা মেয়ের মধ্যে বালেগ হওয়ার নির্দিষ্ট আলামত পাওয়া গেলে বা নির্দিষ্ট বয়সসীমায় পৌঁছলেই তাকে বালেগ গণ্য করা হবে। তখন থেকে ইসলামী শরিয়তের বিধি-বিধান তার ওপর অর্পিত হবে। 

ছেলেদের বালেগ হওয়ার আলামত হলো : (ক) স্বপ্নদোষ হওয়া। (খ) বীর্যপাত হওয়া। (গ) দাড়ি বা গোফ উঠা।

আর মেয়েদের বালেগ হওয়ার আলামত হলো : (ক) স্বপ্নদোষ হওয়া। (খ) হায়েজ (ঋতুস্রাব) আসা। (গ) গর্ভধারণ করা। (ঘ) স্তন বড় হওয়া ইত্যাদি।

বালেগ হওয়ার উপরোক্ত নির্দিষ্ট আলামত যদি কোনো ছেলে বা মেয়ের মধ্যে পাওয়া না যায়, সেক্ষেত্রে উভয়ের বয়স যখন হিজরি বর্ষ হিসাবে ১৫ বছর পূর্ণ হবে, তখন প্রত্যেককে বালেগ গণ্য করা হবে। ১৫ বছর পূর্ণ হওয়ার পর কোনো আলামত পাওয়া না গেলেও সে বালেগ বলেই বিবেচিত হবে। (আল ইনায়া শারহুল হেদায়া ৮/২০১; আদ্দুররুল মুখতার ৬/১৫৩; তাফসিরে কুরতুবি ১২/১৫১)

এ বিষয়ে হাদিস শরিফে এসেছে : নাফে (রহ.) হজরত ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণনা করেন, উহুদ যুদ্ধের দিন রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাকে (সবার সামনে) পেশ করেন, তখন আমি ১৪ বছরের বালক। (ইবনে ওমর বলেন) তিনি [মহানবী সা.)] আমাকে (যুদ্ধে গমনের) অনুমতি দেননি। পরে খন্দকের যুদ্ধে তিনি আমাকে পেশ করেন ও অনুমতি দেন। তখন আমি ১৫ বছরের যুবক। নাফে (রহ.) বলেন, আমি খলিফা ওমর ইবনে আবদুল আজিজের কাছে গিয়ে এ হাদিস শুনালাম। তিনি বলেন, এটাই হচ্ছে প্রাপ্ত ও অপ্রাপ্ত বয়সের সীমারেখা। তারপর তিনি তাঁর গভর্নরদের লিখিত নির্দেশ পাঠালেন যে (সেনাবাহিনীতে) যাদের বয়স ১৫ হয়েছে, তাদের জন্য যেন ভাতা নির্দিষ্ট করা হয়। (বুখারি, হাদিস নম্বর ২৬৬৪, ৪০৯৭; মুসলিম, হাদিস নম্বর ১৮৬৮)




Comments

Popular posts from this blog

পোলিও টিকাতে মূল উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হয় বানরের কিডনি:

আপনার শিশুকে টিকা দিতে চান? তার আগে সত্য জানুন!

ডাইনোসর নিয়ে যত জল্পনা কল্পনা: