আমরা কি অসভ্য ও জংলী জাতিতে পরিণত হয়েছি?
আমরা কি অসভ্য, বুনো, বর্বর এবং জংলী জাতিতে পরিণত হয়েছি? তাই যদি না হবে তাহলে মৃত্যুদন্ডের আইন পাশ হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশে ধর্ষণ থামছে না কেন? ভাবলে অবাক হতে হয় যে, নভেম্বরের ১৭ তারিখ থেকে ডিসেম্বরের ১৭ তারিখ পর্যন্ত এই এক মাসে দেশে ১৩৪টি ধর্ষণের ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। এই এক মাসে ঢাকার জাতীয় দৈনিকসমূহে প্রকাশিত ঘটনাই ঐ ১৩৪টির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এর বাইরে আরো অসংখ্য ঘটনা ঘটেছে, যেগুলো সংবাদপত্রের পাতায় আসেনি। অসংখ্য ঘটনা ঘটেছে যেগুলো থানায় রিপোর্ট করা হয়নি। এখনও সমাজে ধর্ষিতাকে সমবেদনা জানালেও সে সামাজিক মর্যাদা ফিরে পায় না। কুমারী মেয়ে ধর্ষিতা হলে এবং সেই ধর্ষণের ঘটনা জানাজানি হলে মেয়েটির সহজে বিয়ে হয় না। আর বিবাহিতা মেয়ে ধর্ষিতা হলে স্বামী বা স্বামীর পরিবার তাকে আর গ্রহণ করতে চায় না ।
কিয়ামতের পূর্বে উম্মতে মুহাম্মাদীর মধ্যে এই পাপের কাজটি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়বে। রাসুল (সাঃ) বলেছেনঃ
"নিঃশ্চয় কিয়ামতের অন্যতম আলামত হচ্ছে ইলম উঠিয়ে নেয়া হবে এবং মানুষের মাঝে অজ্ঞতা বিস্তার লাভ করবে, মদ্যপান ছড়িয়ে পড়বে এবং মুসলমানেরা
ব্যভিচারে লিপ্ত হবে।"
***বুখারী, অধ্যায়ঃ কিতাবুল ইলম।
তিনি আরো বলেছেনঃ
"আমার উম্মাতের একটি দল যেনাকে হালাল মনে করবে।"
***বুখারী, অধ্যায়ঃ কিতাবুল আশরিবা।
আখেরী যামানায় ভাল লোকগণ চলে যাওয়ার পর শুধুমাএ দুষ্ট লোকেরা অবশিষ্ট থাকবে। তারা প্রকাশ্য দিবালোকে মানুষের সামনে গাধার ন্যায় ব্যভিচারে লিপ্ত হবে। তাদের উপরে কিয়ামত প্রতিষ্ঠত হবে।
***মুসলিম, অধ্যায়ঃ কিতাবুল ফিতান।
ইমাম কুরতুবী (রহিঃ) বলেছেনঃ এ হাদীসে নবুওয়াতের অন্যতম প্রমাণ রয়েছে। কারণ তাঁর ভবিষ্যৎ বাণী বাস্তবে পরিণত হয়েছে। আমাদের যামানায় প্রকাশ্যে ব্যভিচার সংঘটিত হচ্ছে। কিয়ামতের এই আলামতটি বর্তমান মুসলিম সমাজেও ব্যাপকভাবে দেখা দিয়েছে, যা বিস্তারিত বলার অপেক্ষা রাখেনা। বড় পরিতাপের বিষয় এইযে, অনেক ইসলামী দেশে সরকারি ভাবে ব্যভিচারের লাইসেন্স দেয়া হয়ে থাকে। এ সমস্ত মুসলিম দেশের শাসকরা রোজ কিয়ামতে আল্লাহর দরবারে কি জবাব দিবেন!!
Comments
Post a Comment