পৃথিবী সমতল হলে, রাতের বেলা আমরা কেন সূর্যকে দেখতে পাই না?


 

 

আল্লাহতালা দিবসের অধিপতি করেছেন সূর্যকে। আর চাঁদের জন্য নির্ধারণ করেছেন বিভিন্ন মঞ্জিল

বিকেলের একবারে শেষ দিকে এবং সকালের একবার শুরুর দিকে চাঁদকে চাদের কলা অনুপাতে নির্দিষ্ট দিনগুলোতে দেখা যায়। আপনি চাইলে সেটা দেখে নিতে পারেন

সমতল পৃথিবী সম্পর্কে আপনার সুস্পষ্ট ধারণা থাকা উচিত এরকম যে,পাহাড়-পর্বত উঁচু-নিচু সব মিলিয়ে পৃথিবীর বিস্তৃত সমতল। একেবারে প্লেইন সমতল নয়

অপরদিকে চাঁদ সূর্য পৃথিবীর তুলনায় আকারে অনেক ছোট। সেগুলোকে যত উপরে বলা হয় ততো উপরে নয়

তাহলে আপনি রাতে কেন সূর্যকে দেখতে পান না তার তিনটি কারণ আছে

/দিবস সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র একটি সাবজেক্ট হওয়া সত্বেও পৃথিবীতে সূর্যকে দিবসের সাথে সংযুক্ত করা হয়েছে। তাই দিনের বেলায় আপনি সূর্যকে দেখাতে পান, রাতে নয়

/সূর্য পৃথিবীর তুলনায় অনেক ছোট এবং নিচে থাকার কারণে মেঘমালা এবং জলবায়ু সূর্যকে আড়াল করে দেয়। জল বায়ুর ঘনত্ব ভেদ করে অনেক দূরে দেশে অবস্থিত ক্ষুদ্র সূর্যের আলো আপনি যে ভূমিতে আছেন, সে পর্যন্ত এসে পৌঁছায় না

/সর্বশেষ কারণটি হলো জমিন একেবারে প্লেইন সমতল নয়। উঁচু-নিচু এবং পাহাড়-পর্বত দিয়ে পৃথিবীতে বিস্তৃত করা হয়েছে। আপনি যে ভূমিতে অবস্থান করছেন ঠিক সে ভূমি থেকে সূর্য যত দূরে যেতে থাকে ততই সেটা আড়াল হতে থাকে। একসময় সেটা দৃষ্টির অগোচরে চলে যায়। এমনটা আপনি সূর্য অস্ত যাওয়ার সময় বর্তমানে অর্থাৎ শীতকালীন সময় প্রতিদিন সন্ধ্যাবেলায় দেখতে পাবেন। সমুদ্রতীরে গৃষ্ম কালীন সময়ে দেখা যায় সূর্য পানির নিচে যেন অস্ত যাচ্ছে। কিন্তু শীতকালের দিকে দেখা যায় সূর্য পানিতে অস্ত যাওয়ার বহুপূর্বে চোখের আড়াল হয়ে গেছে। সূর্য চলে যাওয়ার পরেও তার আলো তখনোও বিচ্ছুরিত হতে থাকে এবং ধীরে ধীরে আলোটাও চলে যায়। আপনি ঠিক সূর্য উদয়ের আগেও দেখতে পাবেন সূর্য প্রকাশিত হওয়ার পূর্বে সূর্যের আলো প্রকাশিত হয়। অতঃপর ধীরে ধীরে সূর্য প্রকাশিত হয়

যদি পৃথিবী গোল হত তাহলে এমনটা হতো না। তার উদাহরণ নরওয়ে ফিনল্যান্ড

ঠিক এই সিজনে ওই অঞ্চলে ১৮ ঘন্টার অধিক সময় রাত্র থাকে। তার ঠিক বিপরীত সিজনে অনুরূপ সময় দিন থাকে তখন সূর্য আড়াল হয় না

গোল পৃথিবী হলে তো এমনটা হওয়া সম্ভব ছিলনা

আবার এইসব অঞ্চলে (নরওয়ে, অল্যাস্কা, সুইডেন, ইত্যাদি)  রাতের বেলাতেও সূর্য দেখা যায়

দিনের ঠিক মাঝামাঝি সময়ে সূর্যকে সূর্য উদয় অস্ত কালীন সময়ের তুলনায় ছোট দেখা যায়

সূর্য পৃথিবীর একেবারে নিকটেও না আবার একেবারে উপরেও না

সূর্যের জন্য আছে 12 টি রাশিচক্র। সে অনুসারে সিজন অনুযায়ী সূর্যের দূরত্ব কম এবং বেশি হয়ে থাকে

চাঁদ এবং সূর্যের জমিনের থেকে উপরের দিকে দূরত্বের পরিমাণ চন্দ্র দ্বিখন্ডিত করার হাদীসটি পড়লে অনেকটা অনুমান করে নিতে পারবেন

যেখানে বলা হয়েছিল চন্দ্র দ্বিখন্ডিত হওয়ার পর দুটি পাহাড়ের আড়ালে চলে যায়।তখন ওই অঞ্চলের অনেকেই চাঁদকে একটি নির্দিষ্ট সময়ে দেখতে পায়নি। দেখে থাকলেও সেটা খণ্ডিত অংশটুকুই দেখেছে যার যার দূরত্ব থেকে। সেই অনুপাতে সূর্যের দূরত্ব টাও এরকমই

 


Comments

Popular posts from this blog

পোলিও টিকাতে মূল উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হয় বানরের কিডনি:

আপনার শিশুকে টিকা দিতে চান? তার আগে সত্য জানুন!

ডাইনোসর নিয়ে যত জল্পনা কল্পনা: