করোনার ভ্যাকসিনের হালাল হারাম সমাচার। পত্রিকার আর্টিকেল এবং আরো কিছু বিশ্লেষণ:
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনে শূকরের চর্বির উপাদান ব্যবহার করার কারণে ইউরোপ-আমেরিকার মুসলমানরা এ ভ্যাকসিন নিতে অনিহা প্রকাশ করছেন। করোনার ভ্যাকসিন হালাল না হারাম এ সম্পর্কে কোরআন সুন্নাহ কী বলে আসুন জেনে নিই।
কোনো কোনো ভ্যাকসিন কোম্পানি শূকরের চর্বি ব্যবহারের
বিষয়টি অস্বীকার করেছে। তবে একথা সত্যি যে, বিভিন্ন ওষুধ সংরক্ষণে শূকরের চর্বি ব্যবহার
হয়ে থাকে। সত্যিই যদি করোনার ভ্যাকসিন অথবা অন্য কোনো ওষুধে শূকরের চর্বি ব্যবহার হয়ে থাকে
তাহলে এ ব্যাপারে ইসলামী শরিয়েতের দুটো মৌলিক দৃষ্টিভঙ্গী আছে।
প্রথমত, বিকল্প কোনো ওষুধ পাওয়া না গেলে জীবন বাঁচানোর
জন্য হারাম উপাদানে তৈরি ওষুধও ব্যবহার করা সম্পূর্ণ জায়েজ। এ ব্যাপারে সূরা বাকারার
১৭৩ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘একান্ত নিরুপায় অবস্থায়
গোনাহ করার ইচ্ছা ছাড়া শুধু জীবন বাঁচানোর জন্য হারাম খাদ্য খেলে কোনো অপরাধ নেই।’ সূরা মায়েদার ৩
নম্বর আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘গোনাহ করার ইচ্ছে ছাড়াই কেউ যদি জীবন বাঁচানোর জন্য
বাধ্য হয়ে হারাম খায়, তার জেনে রাখা উচিত আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল ও দয়ালু।’
এ দুটো আয়াত প্রমাণ করে জীবন বাঁচানোর জন্য প্রয়োজনমত
হারাম খেলে কোনো গোনাহ হবে না। করোনার ভ্যাকসিন তো আমরা খাচ্ছি না, শরিরে পুশ করছি মাত্র। জীবন বাঁচানোর
জন্য হারাম খাওয়া যদি জায়েজ হয়, তাহলে শূকরের চর্বি ব্যবহৃত ভ্যাকসিন ব্যবহার করা কেন
জায়েজ হবে না! হজরত আবদুর রহমান ইবনে আওফ এবং জুবায়ের ইবনে আওয়াম (রা.) চর্মরোগে আক্রান্ত
হলে রাসুল (সা.) তাদের রেশমি পোষাক পড়ার অনুমিত দিয়েছিলেন। এ থেকে বোঝা যায়, রোগের
কারণে হারাম বস্তু ব্যবহার করা জায়েজ। (সূরা আবু দাউদ, হাদিস নম্বর ৪০৫৬।)
এবার দ্বিতীয় দৃষ্টিভঙ্গীটি নিয়ে আলোচনা করা যাক। সূরা
আনআমের ১১৯ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, ‘তোমাদের জন্য যা
যা হারাম করা হয়েছে, আল্লাহ তা সুস্পষ্ট করে বলে দিয়েছেন।’ এ সূরারই ১৪৭ নাম্বার
আয়াতে আল্লাহ বলেন, ‘ইহুদিদের জন্য গরু ও ছাগলের চর্বি হারাম করেছি। তবে
পিঠ-পেঠ ও হাড়ের সঙ্গে লেগে থাকা চর্বি হালাল ছিলো।’ তার মানে একটি প্রাণীর
কী এবং কতটুকু অংশ হালাল বা হারাম তা আল্লাহর কিতাবে স্পষ্ট করে বলে দেওয়া হয়। সূরা
মায়েদার ৩ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, ‘হুররিমাত আলাইকুমুল
মাইতাতু ওয়াদদামু ওয়া লাহমুল খিনজির। তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে- মৃত পশু, রক্ত
এবং শূকরের মাংস।’ লক্ষণীয় ব্যপাার হলো, আয়াতে ‘লাহমুল খিনজির’ বলা হয়েছে। লাহমুন
অর্থ গোশত। করোনার টিকায় শূকরের গোশত ব্যবহার করা হচ্ছে না। ব্যবহার করা হচ্ছে চর্বি।
চর্বির আরবি হলো শাহমু। তারমানে শূকরের মাংশ হারাম, চর্বি সরাসরি কোরআনের আয়াতের আলোকে
হারাম নয়। আয়াতে ‘শূকরের মাংস’ শব্দটা খাস। শুধু
মাংসই হারাম। চর্বি বা শূকরের অন্যান্য বিষয় যদি হারাম হতো তাহলে আল্লাহ বলতেন, তোমাদের
জন্য শূকর হারাম করা হয়েছে। কিন্তু আল্লাহ স্পষ্ট করে ‘শূকরের মাংস’ বলে দিয়েছেন।
তার মানে কি আমরা বলতে চাচ্ছি শূকরের চর্বি হালাল?
না, আমরা মোটেও সে কথা বলছি না। আমরা তাই বলছি, যা মিশর ও মালশিয়ার একদল আধুনিক আলেম
বলেছেন। তাদের ফতোয়া হলো, ওষুধে ব্যবহৃত শূকরের চর্বি হারাম নয়। প্রক্রিয়াজাত করার
কারণ চর্বি বা জেলাটিন থেকে শূকরের বৈশিষ্ট ও নাজাসাত দূর হয়ে যাওয়ার কারণে তা হালাল
হয়ে যায়। সৈয়দ আমীর আলী দ্য স্পিরিট অব ইসলাম গ্রন্থে স্পষ্ট বলেছেন, শূকরের কোনো অংশ
থেকে প্রক্রিয়ারজাত করে নাজাসাত তথা অপবিত্রতা দূর করতে পারলে তা ব্যবহার করা জায়েজ
হবে। হালাল প্রাণীর যেমন সবকিছুই হালাল নয়। তেমনি হারাম প্রাণীরও সবকিছু হারাম নয়।
গরুর পেশাব-পায়খানা হারাম। কিন্তু গরুর গোবর যদি শুকিয়ে যায়, তাহলে তা পবিত্র হয়ে যায়।
একবার একটি মৃত ছাগল দেখে রাসুল (সা.) বলেছেন, তোমরা এর চামড়া শোধন করে ব্যবহার করো।
সাহাবিরা বলল, ওটা তো মরে গেছে। রাসুল (সা.) বলেছেন, মরা ছাগল খাওয়া হারাম, কিন্তু
দাবাগাত-প্রক্রিয়াজাত করে ব্যবহার করা তো হারাম নয়। (বুখারি, হাদিস নম্বর ১৪৯২; মুসলিম,
হাদিস নম্বর ৩৬৩।) বুখারির অন্য বর্ণনায় এসেছে, ‘উম্মুল মোমিনিন সওদা
(রা.) বলেন, ‘একটি ছাগল মরে গেলে আমরা তার চামড়া প্রক্রিয়াজাত করে
মশক বানিয়ে ব্যবহার করি এবং তাতে খেজুরের শরবত পান করি।’ (ড. ইউসুফ আল কারজাভি,
আল হালাল ওয়াল হারাম ফিল ইসলাম, ৭৪ পৃষ্ঠা।
তাহলে ‘আল্লাহ যা হারাম
করেছেন, তাতে শেফা নেই’- এ হাদিসের ব্যাখ্যা কী? বুলুগুল মারামের কিতাবুল
হুদুদে এ হাদিসটি এসেছে। উম্মে সালামা (রা.) নবী (সা.) থেকে হাদিসটি বর্ণনা করেছেন।
মুহাদ্দিসদের গবেষণায় হাদিসটি সহিহ। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ যা হারাম
করেছেন, তাতে রোগমুক্তি নেই।’ এ হাদিসের অনেক ব্যখ্যা রয়েছে। মনে রাখতে হবে, শূকরের
চর্বি সরাসরি ব্যবহার করা হালাল সেকথা আমরা বলছি না। আমরা বলছি, প্রক্রিয়াজাত করে তা
ব্যবহার করা জায়েজ। অবশ্য বিশেষজ্ঞ আলেমদের ভিন্ন মতও রয়েছে। শূকরের চর্বি যদি চিকিৎসায়
ব্যবহার করা হারাম হতো, তাহলে তো এতে মরণঘাতক করোনাভাইরাসের শেফা থাকত না। এ জন্যই কোরআনে আল্লাহ শূকরের মাংস হারাম
করেছেন। চর্বির কথা উল্লেখ করেননি। আল্লাহ অবশ্যই জানতেন, একদিন পৃথিবীর বুকে মরণব্যধি করোনা ভাইরাস আসবে, দুনিয়া উলট-পালট হয়ে যাবে। তখন মানুষ এর ভ্যাকসিন
আবিষ্কারে শুকরের চর্বি ব্যবহার করবে। কেউ যদি শূকরের চর্বি ব্যবহার হয়েছে এ অজুহাতে
ভ্যাকসিন না নেয় তাকে আমি কোরআনের এ সতর্কবাণী শুনিয়ে দিতে চাই- ‘তোমরা নিজেকে নিজে
মেরে ফেলো না।’ (সূরা বাকারাহ, আয়াত ১৯৫।)
R:M: যেহেতু
এখন অনেকেই টিকাকে জায়েজ বলছেন। এবং
সবার কথাই প্রায় একইরকম। অর্থাৎ
উপরোক্ত আলোচনার মতোই। তাই
ওই আর্টিকেলটি দেয়া হলো। এবার
আমরা বিশ্লেষণে যাবো ইনশাআল্লাহ।
লেখক
সাহেব সূরা মায়েদের ৩ নং আয়াত দ্বারা প্রমান করার চেষ্টা করেছেন যে, ভ্যাক্সিনে হারাম উপাদান থাকলেও জীবন বাঁচানোর জন্য এটা নেয়া জায়েজ হবে। এখানে
প্রশ্ন হলো: আমরা সবাই কি মৃত্যু পথযাত্রী? আমরা কি টিকা না নিলে মারা যাবো? আমরা তো সম্পূর্ণ সুস্থ, আলহামদুলিল্লাহ। করোনা
তো কোনো মহামারী নয়। আর
ছোঁয়াচেও নয়। তাহলে,
একটা কমন সিজনাল ফ্লুর (সাধারণ জ্বর কাশি) জন্য আমরা কেন হারাম উপাদানে তৈরী করা ভ্যাকসিন নিবো?
তবে
হা, অনেক মানুষ মারা গেছে। কিন্তু
এরা কি করোনাতে মারা গেছে? নাকি সমস্ত মৃত্যুকেই করোনা বলে চালিয়ে দেয়া হচ্ছে? কারণ, করোনা আসার পর অন্য সব রোগ ও মৃত্যু দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছে বলে মনে হচ্ছে। যাইহোক,
করোনা কোনো প্রাণঘাতী রোগ নয়, যেটার জন্য ভ্যাকসিন নিতে হবে। আর
তাছাড়া সমস্ত ভ্যাকসিন এমনিতেই একটি ষড়য্ন্ত্র। হারাম
উপাদান থাকুক বা না থাকুক। এগুলো
নেয়াটা কোনো মানুষের জন্যই উপকারী নয়। বরং
পুরো মানবতার জন্যই ক্ষতিকর।
এবার
আসুন লেখকের আরেকটি কথা "(করোনার ভ্যাকসিন তো আমরা খাচ্ছি না, শরিরে পুশ করছি মাত্র।)" কতটুকু যৌক্তিক?
তা দেখি। এই
পলিসি অনুযায়ী তো মাদককেও হালাল বলা যায়। কারণ
বেশিরভাগ মাদক বিভিন্ন উপায়ে শরীরে ইনজেকশনের দ্বারা পুস্ করা হয়। বা
ধোয়ার মাধ্যমে নেয়া হয়। সেগুলো
খাওয়া হয় না। এবং
বলতে পারি "মাদক তো আমরা খাচ্ছি না, শরিরে পুশ করছি মাত্র"।
লেখক
সাহেবের দ্বিতীয় দৃষ্টিভঙ্গির (শুকরের মাংস আর চর্বিকে আলাদা ভাবে উপস্থাপন) ব্যাপারে আমি আর কিছু বলবো না। আপনারাই
কয়েকটি আর্টিকেল (আলেমদের বক্তব্য) পড়ে নিন।
নিচের
আর্টিকেল গুলো পড়ুন।
Article-1
শূকরের দেহে
সবচেয়ে বেশি চর্বি থাকে এবং সেই চর্বির মধ্যে মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্বক
ক্ষতিকর চর্বিও রয়েছে। বস্তুুতান্ত্রিক চিন্তা চেতনায় উজ্জীবিত ইউরোপ
জ্ঞান-বিজ্ঞানের অগ্রগতির সাথে এইসব চর্বিকে বিভিন্নভাবে প্রক্রিয়াজাতের মাধ্যমে এ
থেকে ব্যবহার্য বা খাদ্য জাতিয় বিভিন্ন প্রকার উপকরণ যেমন উদ্ভাবন করেছে তেমনি তা
সারা বিশ্ব জুড়েই বাজারজাতও করেছে। আজকাল পুরো ইউরোপ, আমেরিকা আর পশ্চিমা বিশ্ব,
এমনকি সমগ্র বিশ্বব্যাপি স্বাস্থ সচেতনতা বৃদ্ধির ফলে মানুষ খাদ্যে অতিরিক্ত ফ্যাট
নিয়ে বড় বেশি চিন্তিত এবং সজাগ। খাদ্যে চর্বির আধিক্যই হৃদরোগের প্রধান কারণ, সেটা
বিশ্ববাসী খুব ভালো করেই জেনে গেছে বিজ্ঞানের সুবাদে। শূকরের দেহে সবচেয়ে বেশী
চর্বিই কেবল থাকে না বরং সেই চর্বির মধ্যে ক্ষতিকারক উপাদানটির আধিক্যও সবচেয়ে
বেশি। ফলে ইউরোপের সচেতন মানুষ শূকরের মাংস খেলেও এর চর্বিকে সব সময় যথাসম্ভব
এড়িয়ে চলে বা চলার চেষ্টা করে। এর ফলে শূকর ব্যবসায়ী ও তার মাংস সরবরাহকারীদের
একটা বড় অংশই অপচয় হবার সম্ভাবনা দেখা দেয়।
এইসব অপচয় থেকে
বাঁচার জন্যই ইউরোপ শূকরের চর্বির বিকল্প ব্যবহার উদ্ভাবন করেছে। শূকরের চর্বিকে
তারা বিভিন্নভাবে বাজারজাত করেছে। এর বহুবিধ ব্যবহারকে নিশ্চিত করেছে প্রসাধনী
সামগ্রীর কাঁচামাল, ঔষধের মাধ্যম বা ঔষধ হিসেবে ব্যবহার, শল্য চিকিৎসায় ব্যবহার্য
প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি নির্মাণ এবং সবচেয়ে বড় কথা হলো মনুষ্য ও পশু খাদ্য সামগ্রির
বিভিন্ন উপাদান হিসেবে এই ক্ষতিকারক বস্তুটিকে ব্যবহার করছে। প্রথমে শূকরের চর্বি
দিয়ে সাবান বানানো হয় এবং তা জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। এর পরে একইভাবে ঐ চর্বিকে কাজে
লাগিয়ে বিভিন্ন রকম তরল প্রসাধনী, ক্রিম ইত্যাদি উৎপাদন এবং বাজারজাত করা হয়, এটাও
ব্যবসায়িক সফলতা পায়।
আবার মজুত ও সরবরাহ সুবিধার জন্য স্ট্যাবিলাইজার হিসেবে অনেক টিকাতেই শূকরের চর্বিজাত জেলাটিন ব্যবহার করা হয়৷
Article-2
শরীয়তের বিধান মতে শূকরের গোশত হারাম৷ তাই শূকরের ত্বকের জেলেটিনও হারাম, বলে ধরা হয়৷
, ‘‘জেলেটিন যেহেতু হাড়, ক্ষুর ও প্রাণীর টিস্যু সিদ্ধ করে তৈরি করা হয়, তাই এটা প্রাণীটির বৈশিষ্ট্যই ধারণ করে৷ যদি সেই প্রাণীর গোশত হালাল হয়, যেমন গরু, উট, ভেড়া ও অন্যান্য, তাহলে জেলেটিনও হালাল হবে, এবং এই প্রাণী থেকে তৈরি অন্যান্য খাদ্যপণ্যও৷ কিন্তু তা যদি হারাম হয়, যেমন শূকর, তাহলে তার জেলেটিনও হারাম হবে৷''
প্রাণীর গোশত হালাল হলেও তা জবাই করতে ইসলামিক উপায় অবলম্বন করা হয়েছে কি না, তাও দেখতে হবে। তবে ইসলামী রাস্ট্রে বা ইসলাম অধ্যুষিত এলাকা কে জবাই করেছে জানা না থাকলে তা জায়েজ আছে।
,
★★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যেই প্রানীর গোশত হালাল,সেই প্রানীর জেলেটিন,সোয়া সস হালাল।
(তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই শরয়ী নীতিমালা মেনেই উক্ত প্রানীর জবাই হওয়া শর্ত)
আর যেই প্রানীর গোশত হারাম,সেই প্রানীর জেলেটিন,সোয়া সসও হালাল।
,
আর নুডলসে ব্যবহার সোয়া সস বা অন্যান্য সসের ক্ষেত্রেও বিধান একই।
হ্যাঁ যদি প্রানী ব্যাতিত অন্য কোনো বস্তু দ্বারা যদি সোয়া সস বানানো হয়,তাহলে দেখতে হবে সেই বস্তুটি হালাল কিনা,যদি হালাল হয়,তাহলে তার সসও হালাল হবে।
যেমন টমেটোর সস।
,
আর যদি সেই বস্তু হারাম হয়,তাহলে সেই হারাম বস্তু দ্বারা বানানো সসও হারাম হবে।
(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)
------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)
Article-3
করোনার ভ্যাকসিন মুসলমানদের জন্য সম্পূর্ণ হারাম : মাওলানা নুর-উর-রহমান
বরকতি
ইনকিলাব ডেস্ক
| প্রকাশের সময় : ২৭ ডিসেম্বর, ২০২০,
১২:২৫ পিএম | আপডেট : ২:০৪ পিএম, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২০
বিশ্বব্যাপী মহামারি করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন নিয়ে গোটা ভারতে যখন তৎপরতা শুরু হয়েছে তখন ওই
ভ্যাকসিনে শুকরের চর্বি ব্যাবহার নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। ভারতীয় মুসলিম সংগঠনের পক্ষ
থেকে স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে তাদের ওপর ওই ভাকসিন প্রয়োগ করা যাবে না। তাদের
দাবি এই ভ্যাকসিন মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য হারাম।
এমন এক পরিস্থিতিতে করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে মুখ খুললেন কলকাতার টিপু সুলতান মসজিদের শাহী
ইমাম মাওলানা নুর-উর-রহমান বরকতি।
শনিবার তিনি বলেছেন ‘গোটা বিশ্ব করোনাভাইরাসের কবলে কিন্তু তাই বলে মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ এই ভাইরাসকে
ভয় পায় না এবং তাদের ভ্যকসিনের প্রয়োজন নেই। আমি পরিস্কার করে বলতে চাই, মুসলিমরা ভ্যাকসিন
ব্যবহার করবে না।’
এই ভ্যাকসিনের মাধ্যমে ভারতের মুসলিমদের হত্যা করার
ইহুদিদের ষড়যন্ত্র বলে অভিযোগ করে বরকতি জানান ‘করোনাভাইরাস কখনই মুসলিমদের ভয়ের ছিল না। বরং এটা হিন্দুদের ওপর প্রভাব
ফেলেছে, তারা ভয় পেয়েছে। মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় করোনার কোন প্রভাবই পড়েনি। আমাদের ওপর আল্লার রহমত আছে, তাই আমরা এখনও
অরক্ষিত আছি।’
শাহী ইমাম স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, তার কোন মুসলিম ভাইয়েরা
এই করোনা ভ্যাকসিন ব্যবহার করবে না যতক্ষণ না পর্যন্ত কোন মুসলিম পন্ডিত
এই ভ্যাকসিনের ফরমুলা দেখে নির্দেশ দেবে। তিনি বলেন ‘এটা আমাদের জন্য
ক্ষতিকারক। শুকরের মাংস খাওয়া বা ব্যবহার করা-উভয়ই ইসলামে হারাম বলে গণ্য করা হয়ে থাকে।
তাই এই ভ্যাকসিনের ফর্মুলা প্রথমে কোন ইসলামিক পন্ডিতের সামনে দেখাতে হবে তার পর মুসলিম
সম্প্রদায়ের মানুষদের মধ্যে তা প্রয়োগ করা হবে।’
সম্প্রতি উত্তর প্রদেশের দারুল উলুম দেওবন্দ থেকেও
মুসলিম সমাজকে আর্জি জানিয়ে বলা হয়েছে, করোনা ভ্যাকসিন ব্যবহার করার আগে মুসলিমদের উচিত, ভ্যাকসিন তৈরিতে
ব্যবহৃত উপাদানগুলি ইসলামের জন্য অনুমমোদিত কি না। এই ভ্যাকসিন মুসলিমদের জন্য নিরাপদ
কি না তা ফতোয়া বিভাগের তরফে ঘোষণা দেওয়ার পরই তা ব্যবহার যোগ্য হবে।
গতকালই মুম্বাইয়ের রাজা অ্যাকাডেমির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নুর দাবি করেন চীনের করোনা ভ্যাকসিনে পর্ক জিলেটিন ব্যবহার করা হয়েছে ফলে চীনের তৈরি করোনা ভ্যাকসিন অবিলম্বে ভারতে ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা
উচিত। কারণ এই ভ্যাকসিন মুসলিমদের জন্য হারাম। একইসাথে তার দাবি, কোনও ভ্যাকসিন এ দেশের
আনার আগে সরকারের উচিত ভ্যাকসিন সম্পর্কে সঠিক তথ্য প্রকাশ করা। আমাদের জানা দরকার
কোন ভ্যাকসিনে কি কি ব্যবহার করা হচ্ছে। তাহলে মুসলিম সমাজের মানুষকে এই বিষয়ে আবগত
করা যাবে।
যদিও ফাইজার, মডার্না, অ্যাস্ট্রজেনেকা’এর মতো ওষুধ প্রস্তুতকারী
সংস্থার তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে তাদের ভ্যাকসিনে পর্ক জিলেটিনের ব্যবহার করা হয়নি।
সূত্র : মুসলিম মিরর
R:M: আশা
করি, বিষয়টা স্পষ্ট হয়েছে, আলহামদুলিল্লাহ। তারপরেও
যাদেরকে টিকা নিতে বাধ্য করা হবে, তাদের জন্য নিচে আরেকটি আর্টিকেল দেয়া হলো।
করোনা ভ্যাকসিন: (সমস্যা ও সমাধান)
ভ্যাকসিনের ক্ষতির ব্যাপারে এখন সবাই জানে। সুতরাং এটা নিয়ে আর কথা বাড়াতে চাচ্ছি না। সরাসরি ভ্যাকসিন না নেয়ার সমস্যা ও সমাধানে চলে যাবো।
তবে যারা একেবারেই জানেন না, তারা নিচের লিংক থেকে জেনে নিতে পারেন।
https://elmpukur.blogspot.com/2020/12/blog-post_8.html
আমরা জানি যে এই ভ্যাকসিন নিতে মানুষকে বাধ্য করা হবে। রীতিমতো শুরুও হয়ে গেছে। সরকারি ভাবেই ফোর্স করা হবে। চাকুরীজীবি সবাইকেই নিতে বাধ্য করা হবে। অনেক প্রাইভেট কোম্পানি তো নিজেদের স্টাফদের জন্য নিজ উদ্যোগে আগেই নিয়ে আসা শুরু করেছে এবং স্টাফদের জন্য ১২০০ -১৫০০ টাকা করে প্রতি ডোজের মূল্য নির্ধারণ করেছে। আবার যারা বিদেশে থাকে, তাদেরকে নিতেই হবে। কোনো উপায় নেই।
এখন, যেমন NID কার্ড ছাড়া আপনি কোনো নাগরিক সুবিধা পাবেন না। ঠিক তেমনি ওই ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট না থাকলে আপনি বিভিন্ন জায়গায় হয়রানি হবেন। এভাবেই সিস্টেমকে সাজানো হয়েছে। তাহলে এক্ষেত্রে কি করণীয়?
সর্বপ্রথম করণীয় হচ্ছে , একটা নকল টিকা সার্টিফিকেট
বানিয়ে নেয়া। সেটা দিয়েই কোনো রকমে বর্তমান পরিস্থিতিটাকে পার করা। আর যাদেরকে টিকা নিতেই হবে, তারা নিচের আমলগুলো অনুসরণ করবেন।
আমলের আলোচনা টুকু এক বোনের টাইমলাইন থেকে নিয়েছি।
((যারা প্রানপণে চেষ্টা করছেন মিথ্যা করোনার বিধ্বংসী ভ্যাকসিন থেকে বাচার জন্য তারা চেষ্টা জারি রাখবেন। এই চেষ্টায় যখন একদম নিরুপায় হয়ে যাবেন এই ভ্যাকসিন নিতে তখন যা যা করবেন,,,,,,,,,
১) করোনা ভ্যাকসিন নেয়ার আগে ৭ টা আজওয়া খেজুর খাবেন।
২) দুই রাকাত নামাজ পড়ে আল্লাহর কাছে দুয়া করবেন যেন ভ্যাকসিন এর কার্যকরীতা আল্লাহ পানির কার্যকারিতায় বদলে দেয়।
৩) ভ্যাকসিন নেয়ার সময় পুরোপুরি মনকে আল্লাহর স্বরনে ডুবে রাখবেন আর পড়বেন,
"আউযুবি কালিমাতিল্লাহিত তাম্মাতি মিন শাররীমা খলাক্ব "
।আল্লাহ চায় তো এই ভ্যাকসিন আপনার দেহে অসাড় হয়ে পড়বে।
মনে রাখবেন একদম নিরুপায় না হলে এই ভ্যাকসিন নিবেন না, এই ভ্যাকসিন আপনাকে জোম্বি হতে সাহায্য করবে আপনার পরবর্তী প্রজন্মকে মাকাল ফল করে দিবে, তাই সাবধান।))
আজোয়া খেজুরের উপকারিতা::
"সা‘দ (রাঃ) তাঁর পিতা হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি প্রত্যেকদিন
সকালবেলায় সাতটি আজওয়া উৎকৃষ্ট খেজুর খাবে, সেদিন কোন বিষ ও যাদু তার ক্ষতি করবে না।"
[সহীহ বুখারী (তাওহীদ) ৫৪৪৫/হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)]
"ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া, ইবনু আয়্যুব ও ইবনু হুজর (রহঃ) ... আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসুলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মদিনার আলিয়া অঞ্চলের (উঁচু ভূমির) আজওয়া খেজুরে শেফা (রোগমুক্তি) রয়েছে। অথবা তিনি বলেছেনঃ প্রতিদিন সকালের এর আহার বিষনাশক (ঔষধের কাজ করে)।"
[সহীহ মুসলিম (ইফাঃ) ৫১৬৮/হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)]
"আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, "আল-'আলিয়ার আজওয়া খেজুর খেয়েই সকালের উপবাস প্রথমে ভাঙলে তা (সর্বপ্রকার) যাদু অথবা বিষক্রিয়ার আরোগ্য হিসেবে কাজ করে।"
[মুসনাদে আহমাদ, হাদিস ২৩৫৯২]
N:B: ৭ টি আজোয়া খেজুর যেহেতু বিষ ও জাদুকে কাটিয়ে দিতে পারে, সুতরাং টিকার জাদুকরী কার্যকারিতাও কাটিয়ে দিতে পারবে ইনশাআল্লাহ।
Comments
Post a Comment