"চাঁদের নিজস্ব আলো নেই" - এই ধারণা কবেকার?
এই বিষয়টি কবে দুনিয়ার মানুষ জানতে শুরু করল? নিশ্চয়ই বলবেন খুব সাম্প্রতিক কালে হয়তো কোন বিজ্ঞানী বা মহাকাশ সংস্থার গবেষণায় এটি উঠে এসেছে..। আর কিছু বিজ্ঞান ভজনা করা কতিপয় মুসলিম দাবিকারী গণ এটাও দাবি করে বসে যে কুরআনে নাকি ১৪০০ বছর আগেই এই বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে। অনেক বিদ্বান এই নিয়ে কথার ফুলঝুরি ফোটাতে পারঙ্গম হন।
তাহলে এবার মূল প্রসঙ্গে আসি, উপরিক্ত বিষয়ে যা জানেন সবটাই আগাগোড়া মিথ্যা।
বিজ্ঞান বা কোন মহাকাশ সংস্থা এটি গবেষণা করে বেরও করে নি, আর আসমানী কোন কিতাবেও এই কথা বলা হয় নি যে চাঁদের আলো নিজস্ব নয়।
চাঁদের আলো নিজস্ব। চাঁদের মাঝে যাবতীয় ক্ষমতা রয়েছে আলো নির্গত করার, পূর্ণিমা,অমাবস্যা, চন্দ্রগ্রহণ, রেড মুন, ব্লু মুন ইত্যাদি নিদর্শন সংগঠিত করার।ইহা আল্লাহর কর্তৃত্বের একটি নিদর্শন।
এই বিষয়ে খুব ভাল করে ব্যাখা করে দেওয়া সম্ভব। কিন্তু এখানে যেই বিষয়টি নিয়ে স্রোতের বিপরীতে দাড় টানবো তা হচ্ছে কুরআন ও হাদীস অনুযায়ী চাঁদের নিজস্ব আলো আছে এবং আলো নেই এটি বর্তমান কালের কোন বিজ্ঞানের তত্ত্ব নয় বরং এটি গ্রিকদের থেকে আগত। আর গ্রিকরা শিখেছে মিশর থেকে, মিশর শিখেছে ইহুদীদের থেকে,ইহুদীরা নিয়ে আসে ব্যাবিলনের নিষিদ্ধ বিদ্যা থেকে। যেখানে আল্লাহ্ তায়ালা তার দুই ফেরেশতা পাঠিয়েছিলেন মানব জাতির পরীক্ষার জন্যে।
বলে রাখা ভালো যে যাদুর অনেকগুলো ধাপ আছে।আমরা সচরাচর যেসব শুনে বা দেখে থাকি সেগুলো সাধারণ শ্রেণীর যাদু। যাদুর উচ্চতর শাখা হচ্ছে কাব্বালিস্টিক্ ও হার্মেটিকস বিদ্যা। এখানে রীতি মত গাণিতিক সূত্রাবলী দিয়ে এইসব চর্চা করা হয়।
যাদুর একটি মৌলিক নীতি হল বাস্তব বিষয়ের কোন বিপরীত কথা বলা,যা না , মিথ্যা, অসম্ভব এমন কিছু কথামালা দ্বারা কার্য সম্পাদন করা।
এখন আসি কুরআন ও হাদীসে এই চাঁদের বিষয়ে কি কি বলে;
সূরা ইউনুস আয়াত ৫
সূরা আল-ফুরকান আয়াত ৬১
সূরা নূহ আয়াত নং ১৬
সুরা আল-আহযাব আয়াত ৪৬
সূরা আল-ক্বিয়ামাহ আয়াত ৮
সূরা ইউনুস আয়াত ৫
অনুবাদসমূহঃ
তিনিই সূর্যকে করেছেন দীপ্তিময় এবং চাঁদকে আলোময়… । -(আল বায়ান ফাউন্ডেশন, )
তিনি সূর্যকে করেছেন তেজোদীপ্ত, আর চন্দ্রকে করেছেন আলোকময়… -(তাইসিরুল)
আল্লাহ এমন, যিনি সূর্যকে দীপ্তিমান এবং চাঁদকে আলোকময় বানিয়েছেন… -(মুজিবুর রহমান)
তিনিই সে মহান সত্তা, যিনি বানিয়েছেন সুর্যকে উজ্জল আলোকময়, আর চন্দ্রকে স্নিগ্ধ আলো বিতরণকারীরূপে… (Muhiuddin Khan)
সূরা আল-ফুরকান আয়াত ৬১
অনুবাদসমূহঃ
বরকতময় সে সত্তা যিনি আসমানে সৃষ্টি করেছেন বিশালকায় গ্রহসমূহ। আর তাতে প্রদীপ ও আলো বিকিরণকারী চাঁদ সৃষ্টি করেছেন। -(আল বায়ান ফাউন্ডেশন)
কতই না কল্যাণময় তিনি যিনি আসমানে নক্ষত্ররাজির সমাবেশ ঘটিয়েছেন আর তাতে স্থাপন করেছেন প্রদীপ আর আলো বিকিরণকারী চন্দ্র। -(তাইসিরুল)
কত মহান তিনি, যিনি নভোমন্ডলে সৃষ্টি করেছেন তারকারাজি এবং তাতে স্থাপন করেছেন প্রদীপ ও জ্যোতির্ময় চাঁদ! -(মুজিবুর রহমান)
কল্যাণময় তিনি, যিনি নভোমন্ডলে রাশিচক্র সৃষ্টি করেছেন এবং তাতে রেখেছেন সূর্য ও দীপ্তিময় চন্দ্র। (Muhiuddin Khan)
সূরা নূহ আয়াত নং ১৬
অনুবাদসমূহঃ
আর এগুলোর মধ্যে চাঁদকে সৃষ্টি করেছেন আলো আর সূর্যকে সৃষ্টি করেছেন প্রদীপরূপে’। -(আল বায়ান ফাউন্ডেশন)
আর তাদের মাঝে চাঁদকে বানিয়েছেন আলো এবং সূর্যকে করেছেন প্রদীপ। -(তাইসিরুল)
এবং সেখানে চাঁদকে স্থাপন করেছেন আলোক রূপে ও সূর্যকে স্থাপন করেছেন প্রদীপ রূপে; -(মুজিবুর রহমান)
এবং সেখানে চন্দ্রকে রেখেছেন আলোরূপে এবং সূর্যকে রেখেছেন প্রদীপরূপে।(Muhiuddin Khan)
তিনটি আয়াতে যে দুটি শব্দ চাঁদের আলো বর্ণনায় ব্যবহৃত হয়েছে সেগুলো হল আরবি শব্দ “নূর” (যার অর্থ হলো আলো অনেক ক্ষেত্রে আলোর উৎস ) ও “মুনির” যার অর্থ উজ্জ্বল, দীপ্তিমান, জ্যোতির্ময় ( প্রতিফলিত আলো নয় )। এখানে এই শব্দ দুটির কোনটিই চাঁদের আলোকে প্রতিফলিত আলো হিসাবে ব্যাখ্যা করে না বরং নূর শব্দের দ্বারা এটাই উল্টো প্রমানিত হয় যে চাঁদের নিজস্ব আলো আছে। কারণ আল্লাহর ৯৯টি নামের একটি হলো “আন্-নূর” যার অর্থ “আলো”। যা কোনভাবেই প্রতিফলিত আলো হতে পারে না।
২৪ নং সূরা নূর এর অনুবাদকৃত বাংলা নাম “আলো” ও ইংরেজি নাম“The Light.”
মুনির” শব্দের মাধ্যমে অনেকে চাঁদের আলোকে প্রতিফলিত প্রমান করতে চান। মুনির শব্দের অর্থও কোন ভাবেই প্রতিফলিত আলো না। প্রতিফলিত আলো দাবি করার জন্য নুর বা মুনির শব্দের আগে প্রতিফলিত, ধার করা কিংবা এসম্পর্কিত অর্থে কোন শব্দ থাকা প্রয়োজন যা কোরআনে উল্লেখ করা হয়নি। সুরা ৭১ নুহ এর ১৬ নং আয়াতে নূর শব্দের আগে থাকা “ফিহিন্না” শব্দের অর্থ (তারমধ্যে বা তারমাঝে) যা তাদের ভ্রান্ত দাবির বিপক্ষে যায়। মুনির শব্দের অর্থও যে প্রতিফলিত আলো হয় না সেটি সূরা আল-আহযাব ৩৩ এর ৪৬ নং আয়াতের অনুবাদগুলো লক্ষ্য করলেই নিশ্চিত হওয়া যায় যেখানে মুনির শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে। মূলত এ আয়াতে বলা হয়েছে “ ওয়া সিরাজান মুনিরা“। উল্লেখ্য “সিরাজ” শব্দের অর্থ বাতি, প্রদীপ বা ল্যাম্প এবং প্রদীপের আলো কখনো প্রতিফলিত আলো হয় না কারন প্রদীপ বা বাতি সরাসরি আলোর উৎস।
দেশের প্রখ্যাত বাংলা অনুবাদগুলোর মধ্যে কোথাও চাঁদের আলোকে প্রতিফলিত বা ধার করা আলো বলা হয়নি। অন্যদিকে কোরানের প্রখ্যাত এবং পুরনো ইংরেজি অনুবাদক ( Yusuf Ali, Pickthall, Shakir,Sarwar) সহ কেউই চাঁদের আলোকে প্রতিফলিত আলো অনুবাদ করেন নি, কিন্তু তুলনামূলক নতুন এবং সাম্প্রতিক অনুবাদকSahih International তার অনুবাদে “নুর” শব্দের অনুবাদ করেছেন (derived light -10:5) এবং(reflected light – 71:16) যা একটি ভুল এবং অসাধু অনুবাদ। হযরত জাকির নায়েকও একই ধরনের দাবি করেন। তাদের দাবি অনুযায়ী “নুর” শব্দটিকে(Reflected Light) বা প্রতিফলিত আলো অনুবাদ করলে ২৪ নং সুরা নুর এর ৩৫ নম্বর আয়াত এর ইংরেজি অনুবাদ দাড়ায়,
Allah is the (Reflected Light) of the heavens and the earth
বাংলা অনুবাদ দাড়ায়
“আল্লাহ আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর প্রতিফলিত আলো” ( নাউজুবিল্লাহ)।
উল্লেখ্য, Sahih International এই আয়াতে “নুর”কেReflected Light অনুবাদ করেনি।
এমনকি এই সম্পর্কিত তিনটি আয়াতের তাফসিরে কোন তাফসির কারক এই দাবি করেননি যে চাঁদের নিজস্ব আলো নেই।
সূরা আল-ক্বিয়ামাহ আয়াত ৮
এবার দেখুন কোরানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আয়াত যা প্রমান করে যে চাঁদের নিজস্ব আলো আছে।
অনুবাদসমূহঃ
আর চাঁদ কিরণহীন হবে, -(আল বায়ান ফাউন্ডেশন)
চাঁদ হয়ে যাবে আলোকহীন -(তাইসিরুল)
চন্দ্র জ্যোতিহীন হয়ে যাবে।(Muhiuddin Khan)
Sahih International: And the moon darkens.
এই আয়াতের অনুবাদের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো এই আয়াতের তাফসীরে একটি ব্যাপার খুবই লক্ষনীয় এই যে, সকল তাফসীরকারকগন একমত যে কেয়ামতের পূর্বে চন্দ্রকে জ্যোতিহীন বা আলোকহীন করে নেয়া হবে। পরের আয়াতেই বলা হচ্ছে যে চন্দ্র এবং সূর্যকে একত্রিত করা হবে। তাফসীরকারক বলেছেন সূর্যও আলোকহীন হয়ে যাবে এবং তাদেরকে একত্রে লেপটিয়ে দেয়া হবে বা একত্রিত করা হবে যার বর্ণনা সহিহ হাদীসেও আছে । অর্থাৎ এই আয়াতের তাফসীরে এই বিষয়টি স্পষ্ট যে কেয়ামতের পূর্বে প্রথমে চাঁদকে আলোকহীন করা হবে যা সরাসরি প্রমান করে যে কোরআন অনুযায়ী চাঁদের নিজস্ব আলো আছে।
সহীহ্ হাদীস থেকেও প্রমান করা যায় যে চাঁদের নিজস্ব আলো আছে।
গ্রন্থের নামঃ সহীহ বুখারী (ইফাঃ)
হাদিস নম্বরঃ [2973]
অধ্যায়ঃ ৪৯/ সৃষ্টির সূচনা
পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন
পরিচ্ছদঃ ১৯৮৬. চন্দ্র ও সূর্য উভয়ে নির্ধারিত কক্ষপথে আবর্তন করে। এর জন্য মুজাহিদ (রহঃ) বলেন, উভয়ের আবর্তন চাকার আবর্তনের অনুরূপ। আর অন্যেরা বলেন, উভয় এমন এক নির্দিষ্ট হিসাব ও স্থানের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত যা তারা অর্থাৎ চন্দ্র ও সূর্য লঙ্ঘন করতে পারে না।حُسْبَانٌ হল حِسَابٍ শব্দের বহুবচন, যেমন شِهَابٍ এর বহুবচন شُهْبَانٍ – ضُحَاهَا এর অর্থ জ্যোতি।أَنْ تُدْرِكَ الْقَمَرَ চন্দ্র সূর্যের এক্তির জ্যোতি অপরটিকে ঢাকতে পারে না, আর তাদের পক্ষে এটা সম্ভব নয়। سَابِقُ النَّهَارِ রাত দিনকে দ্রুত অতিক্রম করে। উভয়ে দ্রুত অতিক্রম করতে চায়।نَسْلَخُ আমি উভয়ের একটিকে অপরটি হতে বের করে আনি আর তাদের প্রতিটি চালিত করা হয় وَاهِيَةٌ এবং وَهْيُهَا এর অর্থ তার বিদীর্ণ হওয়া।أَرْجَائِهَا তার সেই অংশ যা বিদীর্ণ হয়নি আর তারা তার উভয় পার্শ্বে থাকবে। যেমন তোমার উক্তি عَلَى أَرْجَاءِ الْبِئْرِ কূপের তীরেأَغْطَشَ وَجَنَّ অন্ধকার ছেয়ে গেল। হাসান বসরী বলেন كُوِّرَتْ অর্থ লেপটিয়ে দেয়া হবে, যাতে তার জ্যোতি নিঃশেষ হয়ে যাবে। আর বলা হয়ে থাকেوَاللَّيْلِ وَمَا وَسَقَ এর অর্থ আর শপথ রজনীর এবং তার যে জীবজন্তু একত্রিত করল। اتَّسَقَ বরাবর হল। بُرُوجًا চন্দ্র সূর্যের কক্ষ ও নির্ধারিত স্থান। الْحَرُورُ গরম বাতাস যা দিনের বেলায় সূর্যের সাথে প্রবাহিত হয়। ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেন, حَرُورُ রাত্রিবেলার আরسَمُومُ দিনের বেলার লু হাওয়া। বলা হয় يُولِجُ অর্থ প্রবিষ্ট করে বা করবে وَلِيجَةً অর্থ এমন প্রতিটি বস্তু যা তুমি অন্যটির মধ্যে ঢুকিয়েছ।
২৯৭৩। মুসাদ্দাদ (রহঃ) … আবূ হুরায়রা (রাঃ) সূত্রে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, কিয়ামতের দিন চন্দ্র ও সূর্য় উভয়কে লেপটিয়ে দেয়া হবে।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বিষয়টি নিশ্চিত যে কেয়ামতের দিন চন্দ্র এবং সূর্যকে লেপটিয়ে দেওয়া হবে যাতে তাদের উভয়ের আলো নিঃশেষ হয়ে যাবে যা আবার প্রমান করে যে চাঁদের নিজস্ব আলো আছে ।এই হাদিসের ব্যাখায় হাসান বসরি (রহ) একইভাবে ব্যাখ্যাটি করেন।
এই হাদীসের ব্যাখ্যায় আরেকটি বিষয় বলা হচ্ছে যে চন্দ্র এবং সূর্য একটির জ্যোতি অপরটিকে ডাকতে পারে না আর তাদের পক্ষে এটা সম্ভব নয়। এই দাবিটিও প্রমান করে যে চন্দ্র এবং সূর্য উভয়ের জ্যোতি রয়েছে কারন সেটা না হলে চন্দ্রের জ্যোতি সূর্যকে ডাকতে পারে না এ দাবিটি করা হতো না। আর আমরা বাস্তবিকই দেখি সূর্যের আলো চাঁদকে ঢাকতে পারে না।
বুখারী শরীফের ব্যাখ্যাগ্রন্থ “নসরুল বারী শরহে সহীহ বুখারী” (খন্ড ৭ পৃষ্ঠা ৩৪৫ পরিচ্ছেদ ১৯৮৮) তে বলা হচ্ছে (চাঁদ সূর্য) উভয়টির আলো অপরটির আলোকে গোপন করতে পারে না আর না তা করা উভয়ের তরে যতাচিত্ত। এই দাবিটিও আগের দাবির মতোই যা প্রমান করে চাঁদের আলো সূর্যের আলোকে গোপন করতে পারে না। অর্থাৎ চাঁদের নিজস্ব আলো আছে।
তাফসীর ইবনে কাসিরের সুরা ইউনুস এর (১০ঃ৫-৬) আয়াতের তাফসিরেও একই রকম দাবী করা হচ্ছেঃ
সুতরাং কোরআন ও হাদীসের চারটি দাবি প্রমান করে চাঁদের নিজস্ব আলো আছে।
১) চাঁদের আলো বর্ণনায় নূর শব্দের ব্যাবহার (১০:৫) (৭১:১৬)
২) কেয়ামতের দিন চাঁদ এবং সূর্যকে একত্রিত করার পূর্বেই চাঁদকে জ্যোতি হীন করে নেয়া হবে।(৭৫ঃ৮-৯)
৩) চন্দ্র এবং সূর্য উভয়ের জ্যোতি নিঃশেষ হয়ে যাবে। বুখারী (ইফাঃ) ২৯৭২
৪) চন্দ্রের জ্যোতি সূর্যকে ঢাকতে পারে না। (হাদীসটির ব্যাখ্যায় বর্ণিত তথ্যসূত্র)
চাঁদ হচ্ছে আমাদের দিন/তারিখ নির্ধারণের জন্য
,সমুদ্র,মরুভূমিতে পথ চিনতে দিক নির্দেশনা পাওয়ার উপলক্ষ্য হিসেবে শীতল আলো দায়ী আসমানি সৃষ্টি।
هُوَ الَّذِى جَعَلَ الشَّمْسَ ضِيَآءً وَالْقَمَرَ نُورًا وَقَدَّرَهُۥ مَنَازِلَ لِتَعْلَمُوا عَدَدَ السِّنِينَ وَالْحِسَابَ ۚ مَا خَلَقَ اللَّهُ ذٰلِكَ إِلَّا بِالْحَقِّ ۚ يُفَصِّلُ الْءَايٰتِ لِقَوْمٍ يَعْلَمُونَ
তিনিই সূর্যকে করেছেন দীপ্তিময় এবং চাঁদকে আলোময় আর তার জন্য নির্ধারণ করেছেন বিভিন্ন মনযিল, যাতে তোমরা জানতে পার বছরের গণনা এবং (সময়ের) হিসাব। আল্লাহ এগুলো অবশ্যই যথার্থভাবে সৃষ্টি করেছেন। জ্ঞানী সম্প্রদায়ের জন্য তিনি আয়াতসমূহ বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করেন।(১০:৫)
তাহলে এবার আসি তাহলে চাঁদের আলো নেই এই ভ্রান্ত কথা কোথা থেকে আসলো:
গ্রিকদের কিছু লোকের যারা নিষিদ্ধ বিদ্যার চর্চা করত তারা এই কথা প্রচার করে যাদুর স্বার্থে। এমনকি এইসব যাদুকরদের বিকৃত রুচির বিভিন্ন রিসুয়াল পালন, নরবলি দিতে হত। সৃষ্টি জগতের বিপরীত বিশ্বাস লালন করতে হত। এইসবই তাদের পূজনীয় অভিশপ্ত আত্মার অর্থাৎ শয়তানের জন্যে করত।
সাধারণ মানুষের মধ্যে এসব প্রচলিত ছিল না।
কিছু উদাহরণ তুলে ধরছি:
Thales (585 BC):
The moon is lighted from the sun. 29; 360. Thales et al. agree with the mathematicians that the monthly phases of the moon show that it travels along with the sun and is lighted by it, and eclipses show that it comes into the shadow of the earth, the earth coming between the two heavenly bodies and blocking the light of the moon (Doxographi on Thales, Aet. ii. 1 ; Dox. 327) (6).
Anaxagoras (500-428 BC) considered the moon be to a false-shining star (255).
The Doxographist elaborate further on this:
The moon is below the sun and nearer us. The sun is larger than the Peloponnesos. The moon does not have its own light, but light from the sun (The Doxographists on Anaxagoras, Hipp. Phil. 8 ; Dox. 561) (260-1).
Empedocles (490-430):
As sunlight striking the broad circle of the moon. 154. A borrowed light, circular in form, it revolves about the earth, as if following the track of a chariot (Empedocles, translations of the fragments I) (177).
Lucretius (100-50 BC):
How then, if the sun is so small, can it give of such a flood of light (p.189)?
The moon, too, whether it sheds a borrowed light upon the landscape in its progress or emits a native radiance from its own body. What then of the moon? It may be that it shines only when the sun’s rays fall upon it. Then day by day, as it moves away from the sun’s orb, it turns more its illuminated surface towards our view till in its rising it gazes down face to face up the setting of the sun and beams with lustre at the full. Thereafter, it is bound to hide its light bit by bit behind it as it glides around heaven towards the solar fire from the opposite point of the zodiac (192-193) (Lucretius, The Nature of the Universe).
Comments
Post a Comment