হামাস বিশ্লেষণ!






ফিলিস্তিনের গাজা শহর নিয়ন্ত্রণকারী সংগঠনটির নাম হামাস।এটি একটি জাতীয়তাবাদি মডারেট চিন্তার ইসলামি সংগঠন ।এটি ১৯৮৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।সংগঠনটির বর্তমান প্রধান ইসমাইল হানিয়া।
অনেকে মনে করেন হামাস একটি জিহাদি সংগঠন।তাদের সু-ধারণা আদৌ সঠিক নয়।হামাস কঠিন শরিয়াহ শাসনে বিশ্বাস করেনা।কেউ শরীয়াহ আইন প্রয়োগ করলে তাদেরকে কঠিন শাস্তির মুখোমুখি হতে হয়।।।শুধু তাই নয়,হামাসের সাথে জিহাদি সংগঠনগুলোর মারাত্মক বিরোধ রয়েছে।হামাস গাজায় জিহাদি কোনো দলকে শ্বাস ফেলার সুযোগ দেয়না।তাছাড়া হামাসের প্রধান মিত্রগুলো হলো আহলুস সুন্নাহর ঘাতকদল ইরান এবং হিজবুশ শয়তান।
আসলে হামাস একটি রাজনৈতিক সংগঠন।এর তিনটি শাখা রয়েছে।১,রাজনৈতিক। ২,সেবামূলক।৩,সামরিক। আর এই সামরিক শাখার নাম হলো কাসসাম বিগ্রেড।ইসরাইলে বিভিন্ন সময় হামলা এই কাসসাম বিগ্রেড পরিচালনা করে।
কাসসাম বিগ্রেডের আনুমানিক যোদ্ধার সংখ্যা ১৫/২০০০০ হবে।সঠিক সংখ্যা তারা কখনো প্রকাশ করেনা।তাদের নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরী বিভিন্নধরনের স্বল্পপাল্লার কয়েক হাজার ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে।তবে এগুলোর সক্ষমতা হতাশাজনক।এগুলো দিয়ে ইসরাইলকে তারা কখনো প্রতিহত করতে পারবেনা।অবশ্য যদি একযোগে তারা এগুলো ব্যবহার করে তাহলে ইসরাইলের প্রচুর ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আকাশ,জলসীমায় ইসরাইলকে প্রতিহত করতে না পারলেও সম্মুখযুদ্ধে ইয়াহুদী সৈন্যরা হামাসের কৌশলগত আক্রমণে বারবার ভালো মার খেয়েছে।এই ক্ষেত্রে হামাসের ট্যাংক বিধ্বংসী মিসাইলগুলো কিছুটা সফল।তাছাড়া হামাসের টানেল ব্যবহার করে হামলা ইসরায়েলের জন্য মরণ ফাঁদের মতো।এজন্য তারা হামাসের চেয়ে এই টানেলগুলোকে বেশি ভয় পায়।
হামাসের কার্যক্রম একটি রাষ্টের মতো।যদিও তারা বর্তমানে ছোট হলেও একটি রাষ্ট্র পরিচালনা করতেছে।এজন্য তারা জিহাদীগ্রুপগুলোর মতো একতরফা হামলায় বিশ্বাসী নয়।তাদের অনুমতি ছাড়া যদি আপনি গাজা থেকে ইসরায়েলে একটি ঢিলও ছোঁড়েন তাহলে এজন্য আপনাকে তারা কঠিন শাস্তি দিবে।মূলত এই কারণেই জিহাদী দলগুলোর সাথে তাদের সংঘাত।তারা শুধু যুূদ্ধ নির্ভর নয়।বরং একটি রাষ্ট্রের মতো রাজনীতি ও কূটনীতির মাধ্যমে এগুতে চায়।সামরিক শাখা হলো তাদের প্লান বি।যখন রাজনীতির ভাষায় কথা বোঝানো যাবেনা তখন অস্ত্রের ভাষায় বোঝাবে।
এভাবে চলছে হামাসের কার্যক্রম।

Comments

Popular posts from this blog

পোলিও টিকাতে মূল উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হয় বানরের কিডনি:

আপনার শিশুকে টিকা দিতে চান? তার আগে সত্য জানুন!

ডাইনোসর নিয়ে যত জল্পনা কল্পনা: